নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের খুনের ঘটনা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করতে দেখা গেল বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের। এদিন এই ঘটনা পুনর্নির্মাণের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধানও।বাংলাদেশ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জিহাদের বর্ণনা থেকে জানা গিয়েছে, ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচৈতন্য করে ফেলা হয় সাংসদকে। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। রান্নাঘর সংলগ্ন একটা জায়গায় খুন করেন আততায়ীরা। সেই জায়গায় ছিল একটি সিসিটিভি, যা আগে থেকেই কাপড় এবং লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন সেলেস্তা রহমান। খুন করার পর সোজা রান্নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। টুকরো টুকরো করা হয়। দেহ থেকে হাড় মাংস আলাদা করে আলাদা আলাদা প্যাকেটে ঢোকানো হয়। এর পাশাপাশি সেলেস্তার দাবি, তিনি ওপরে ছিলেন। নেমে এসে আর দেখেননি আনওয়ার উলকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোয়েন্দারা জানান, বিকেল ৪টে নাগাদ ওই সাংসদেরর জুতো, যেটা বাইরে খোলা ছিল, সেটা আততায়ীরা নিয়ে যায় ভিতরে।
এরপরের ঘটনা সম্পর্কে জিহাদ জানিয়েছেন, ভাঙড়ের রাস্তায় বাগজোলা খালের কৃষ্ণমাটি ব্রিজের কাছে ফেলা হয় দেহাংশ। সাংসদের মোবাইল এবং পোশাক ফেলা হয় গাবতলা বাজারের কাছে। মাথার খুলির টুকরো ফেলা হয় শাসনের কাছে একটি ভেড়িতে।
অন্যদিকে সিয়াম বাংলাদেশ সাংসদ আনোয়ার উল আজিমের সিম কার্ড নিয়ে পালিয়ে যায় নেপালে। নিজের মোবাইলে বার কয়েক অ্যাক্টিভও করে। তাই মুজাফফরপুরে সাংসদের মোবাইল টাওয়ার পাওয়া গিয়েছিল। এদিন ঘটনা পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি, দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। এদিকেসূত্রে এ খবরও মিলেছে, ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে পাওয়া রক্তের নমুনা ডিএনএ প্রোফাইলিং এর জন্য পাঠানো হচ্ছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সিআইডি-র তরফ থেকে।