শুভদ্য়ুতি ঘোষ
ঘূর্ণিঝড় রিমলের আঘাতে এখনও বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলছে। এদিকে স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্নটাসবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, রাজ্যে বর্ষা চলে এলো কি না এই রমলের হাত ধরে। আর তা না হলে কবেই বা বর্ষার প্রবেশ ঘটতে চলেছে এই বাংলায় তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। এদিকে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন রাজ্যে বা কোন শহরে কবে নাগাদ থেকে বর্ষা শুরু হতে চলেছে।
আইএমডি-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী ৩১ মে কেরলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অফিস তার বুলেটিনে দাবি করেছে, ‘আবহাওয়ার একটি মডেল বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী ৩১ মে (যার ৪ দিন এদিক-ওদিক হতে পারে) কেরলে প্রবেশ করতে পারে।’ দিল্লিতে বর্ষা প্রবেশের ব্যাপারে কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি। তবে, কিছু রিপোর্টে ইঙ্গিত করা হয়েছে, ২৭ জুন থেকে বর্ষা প্রবেশ করবে দিল্লিতে। এদিকে ২৮ মে তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য দিল্লিতে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। আজ, ২৭ মে, দিল্লির মুঙ্গেশপুর এলাকায় ৪৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
মুম্বইয়ে বর্ষা সম্পর্কে আইএমডি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১০ জুন থেকে মুম্বইয়ে মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। বর্ষা আন্দামানে প্রবেশ করে গিয়েছে এবং ১০-১১ জুনের মধ্যে মুম্বই পৌঁছবে। বর্ষা সাধারণত ১১ জুন মুম্বইতে প্রবেশ করে, তবে গত বছর, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যের কারণে দু’সপ্তাহ দেরি হয়েছিল।
আইএমডি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৩-১৪ জুন কর্ণাটকের রাজধানী শহরে বর্ষার আগমন হতে পারে। জুনের প্রথম সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইএমডি বেঙ্গালুরুর আবহাওয়াবিদ সিএস পাতিল জানান, মৌসুমী বায়ু ইতিমধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর অগ্রসর হয়েছে এবং ১-২ জুনের মধ্যে কেরল উপকূলে পৌঁছতে পারে। এর পর ৬-৭ জুনের মধ্যে কর্ণাটক উপকূলে পৌঁছতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ নিয়ে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রবিবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গ এখনও বিপর্যন্ত। তবে পূর্বাভাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০ জুনের মধ্যে বর্ষার আগমন হতে পারে।
এখানে বর্ষার আগমনের কথা বলতে গিয়ে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত পূর্বাভাস স্বাভাবিক। কেরল এবং আন্দামানে বর্ষার সূচনার পূর্বাভাস এখনও স্বাভাবিক আছে। যদিও কেরলে বর্ষাশুরুর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্পর্ক নেই, তাও আমরা দু’টির মধ্যে ১০ দিনের ব্যবধানের গণনা করি। কেরলে বর্ষা ঢুকলে তারপরেই আমরা বাংলায় বর্ষার আগমনের পূর্বাভাস দিতে পারি।’