দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন সৃজন

কাজল সিনহা

 

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে। আবারও আক্রান্ত সিপিএম। অভিযোগ উঠল, এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই খবর কানে যেতেই অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরলেন সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের গাঙ্গুলিবাগান এলাকায়। জানা যাচ্ছে আহত সিপিএম কর্মীর নাম মঙ্গলাচরণ চক্রবর্তী। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত্রিবেলা পার্টি অফিস বন্ধ করে রাতের খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন মঙ্গলাচরণ বাবু। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তৃণমল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে বলেন এবার যেন পোলিং এজেন্ট হিসাবে না বসেন। পাল্টা তাঁদের তিনি জানান, দল যা ঠিক করবে তিনি তাই করবেন।

অভিযোগ, এরপরই ওই তৃণমূলের দলবল তাঁকে মারধর করেন। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশী এক মহিলা। নাম শ্রীময়ী চক্রবর্তী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকেও মারধর করেন। এরপর আহত মঙ্গলাচরণকে বাঘাযতীন রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন সৃজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে হাসপাতালে যখন আহতদের ভর্তির প্রক্রিয়া চলছিল সেই সময় কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। বিষয়টি নজরে পড়ে যায় শ্রীময়ী দেবীর। তিনি সৃজনকে জানান এরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে একজনকে ধরে ফেলে সৃজন এবং হাসপাতালে থেকে সিপিআই(এম) কর্মীরা। পাটুলি থানায় অভিযোগ জানানো হলে তারা জানায় এটা নেতাজি নগর থানার বিষয়। দুই থানার মধ্যে দড়ি টানাটানির পর অবশেষে ওই দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে নেতাজি নগর থানা।

নেতাজি নগর থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সোমনাথ রাউত। কিন্তু সে কেন ওই হাসপাতালে গিয়েছিল তার উত্তর পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাটুলি থানার পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি প্রবীণ কর্মী। ৬৬ বছর বয়স। হার্টের সমস্যা আছে। সেই সময় কিছু গুণ্ডা আসে। বলে সিপিএম-এর হয়ে বুথে বসা যাবে না। উনি নিষেধ করতেই সঙ্গে সঙ্গে পেটে লাথি-ঘুষি। ওকে বাঁচাতে একজন ৭২ বয়সী ভদ্রমহিলা, ১৫ বছর বয়সী কিশোরী এগিয়ে আসে। ওদেরও মারে। আমি আপাতত ওকে তুলে দিয়েছি থানায়।’ সঙ্গে এও জানান, ‘তৃণমূল যত এই সব করবে ততো ওদের ভোট কমবে। মানুষ এই সবের থেকে মুক্তি চাইছেন।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − fifteen =