স্ট্রংরুমে ইভিএম কারচুপি নিয়ে তরজায় জড়াল বিজেপি-তৃণমূল

কাজল সিনহা

 

স্ট্রংরুমে ইভিএম নিয়ে কারচুপি হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ আগেই করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে। এবার সেখান থেকে আরও এক পা এগিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করলেন,  কারচুপির আশঙ্কায় ঘি ঢাকলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করলেন আইপ্যাকের এক বিশেষ সদস্য পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, এই ভাড়াটে ইভিএম বিশেষজ্ঞকে দিয়ে কারচুপি করতে পারে তৃণমূল। এরই রেশ ধরে হুঁশিয়ারির সুরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এও জানান, ‘তৃণমূলের জন্য ওষুধও তৈরি রয়েছে।’

এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের সব জায়গাতেই সতর্ক থাকতে বলেছি। কারণ ছলের দুর্বুদ্ধির অভাব হয় না। দোসর আই প্যাক। কীভাবে একজন আইপ্য়াক টিমের মহিলাকে কলকাতা পুলিশের শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। সঙ্গে এও জানান, এই চক্রান্ত থেকে সাবধান থাকতে হবে।’

ইভিএম কারচুপি নিয়ে অভিযোগ প্রথম তোলা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।গত রবিবার তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, কাঁথি কলেজের স্ট্রং রুমের পাশে বসে রয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেখানেই কারচপির গন্ধ পায় জোড়াফুল শিবির। এর ঠিক এক সপ্তাহ বাদে গত রবিবার ইভিএম কারচুপি নিয়ে  সোচ্চার হতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে। তিনি ফেসবুক লাইভ করে সরাসরি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিষ্ণুপুরের আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। একই অভিযোগে রবিবার রাতেই সোচ্চার হন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর একই সুরে গলা মেলা মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও। বিজেপি প্রার্থীরা আশঙ্কা করছেন ইভিএম কারচুপি হতে পারে। আর তা থেকেই নিজেদের কর্মী সমর্থকদের সজাগ থাকার পরামর্শ দেনও তাঁরা।

এই আশঙ্কার কারণ হিসেবে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির তরফ থেকে বারংবার অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, গণনাকেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়েছে তৃণমূল। তাই ফলের বদল হয়। এদিকে এবার এই ইভিএম কারচুপি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগের আঙুল তুললেন  তৃণমূলের পরামর্শদাতা আইপ্য়াকের বিরুদ্ধে।

যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনার পর ওদের নাটক সব শেষ। গ্যাস বেলুন ফেটে গিয়েছে। ওদের নিজেদের লোক গঙ্গাধর কয়ালই সব ফাঁস করে দিয়েছে। এগুলো ধামাচাপা দিতে এখন এই ধরনের অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 11 =