নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী, পদাধিকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও নির্বাচনের মুখে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না তাঁদের বিরুদ্ধে এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। একইসঙ্গে তদন্তের নামে যাতে তাঁদের কোনওভাবে হেনস্থা না করা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে।
এদিকে আবেদনকারীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এই মামলাগুলো সামনে রেখে তাঁদের হেনস্থা করা হতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, তদন্ত চলতে পারে। কিন্তু এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি রাখা হবে বলে জানায় উচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগরের করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার একটি অভিযোগ ওঠে। এমনকি তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি নেতা দেবাশিস দাস, স্বদেশ রঞ্জন অধিকারী, শ্যামাপদ মাইতি, কার্তিক বারিক, শ্রীকান্ত প্রামাণিক, শঙ্কর ভুঁইয়া, সঞ্জীব মণ্ডল,দীনবন্ধু মণ্ডল, গৌরাঙ্গ মণ্ডল সহ একাধিক বিজেপি কর্ম কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত এই সব বিজেপি প্রার্থী, নেতাদের রক্ষাকবচ দিল আদালত।