নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের তলব এড়ালেন শওকত-দেবরাজ

লোকসভা নির্বাচনের আর এক দফা ভোট বাকি। শেষ দফায় ভোট রয়েছে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগরের মতো কেন্দ্রগুলিতে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে সিবিআই দফতরে ডাক পড়ল তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার মামলার তদন্তে তলব করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার রাতেই নোটিস যায় তাঁর কাছে। এদিকে সূত্রে খবর মিলেছে এই নোটিসে সাড়া দেননি তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সংস্থা আগেও শওকতকে তলব করেছে। হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের দেওয়া তথ্য সূত্র থেকেই শওকতের নাম উঠে এসেছে। তবে এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের ঘাড়ে গুরুদায়িত্ব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীন ও লাগোয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের ভরসা এখন শওকতই। আর প্রচারপর্বে সব কেন্দ্রে প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার করছেন শওকতই। তাই নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে বুধবারই বারুইপুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জনসভা আছে। সেই মঞ্চেই এদিন উপস্থিত হন শওকত।

এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা খতিয়ে দেখতে চান, আসানসোলের কয়লা খনি থেকে অবৈধ ভাবে তোলা কয়লা নাকি পাঠানো হত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ইট ভাটায়। তার সঙ্গে শওকতের কোনও যোগ ছিল কি না।

এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে এবার ডাক পড়েছে যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীরও। বুধবারই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় সিবিআইয়ের দফতরে। এ ব্য়াপারে মঙ্গলবার বিকেলেই একটি নোটিস পাঠানো হয় যুব তৃণমূলের নেতার কাছে।  তবে নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে এদিনের এই তলব এড়ান দেবরাজ।

উল্লেখ্য, দেবরাজ চক্রবর্তী হলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও একাধিকবার উত্তর ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল নেতা দেবরাজকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মুখোমুখি হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চোখা চোখা প্রশ্নের। তবে এবার নির্বাচন পর্বের মধ্যেই ২৪ ঘণ্টার নোটিসে তলব করা হল দেবরাজকে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এই যুব তৃণমূল নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে দেবরাজের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এমনকী একটি বাড়ির দোতলায় তৃণমূলের তারকা বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্টুডিয়ো রয়েছে, সেখানেও তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর। যদিও বাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে দেবরাজ জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যাঙ্কের নথিপত্র ও অন্যান্য তথ্য নিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগে যখন নিজাম প্যালেসে ডাক পড়েছিল দেবরাজের, তখনও তিনি জানিয়েছিলেন এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতার কথা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =