গত ১৫ মার্চ থেকে গ্রিন লাইন-২এর হুগলি নদীর তলদেশ দিয়ে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ২ মাসে ৮.২০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী গ্রিন লাইনের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ব্লু লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ভ্রমণ করেছেন, এমনটাই জানাল কলকাতা মেট্রো। এই পরিসংখ্যানটি নির্দেশ করে যে পূর্ব রেলওয়ে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের শহরতলির এলাকা থেকে আগত যাত্রীদের শহরের কেন্দ্রস্থল সহ শহরের যে কোনও অংশে ভ্রমণ করতে সক্ষম করেছে। এসপ্ল্যানেড থেকে সহজে এবং আরামদায়ক এই যাত্রার সুবিধা কয়েক মাস আগেও কল্পনাতীত ছিল। কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে এও জানানো হয়েচে, এই ৮.২০ লক্ষ যাত্রীর মধ্যে ৪.০১ লক্ষ যাত্রী এসপ্ল্যানেডে তাঁদের যাত্রা শেষ করেছেন।
কলকাতা মেট্রোর থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, হাওড়া মেট্রো স্টেশন থেকে ব্লু লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ৪.৬৪ লক্ষেরও বেশি যাত্রী ভ্রমণ করেছেন এবং হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন থেকে ৩.২৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী মেট্রোতে ভ্রমণ করেছেন. উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ৪৬০০০-এরও বেশি যাত্রী দমদম পর্যন্ত এবং ৩৯০০০ যাত্রী গ্রিন লাই-২ এর বিভিন্ন স্টেশন থেকে কালীঘাটে পর্যন্ত গেছেন।হাওড়া ময়দান, হাওড়া এবং মহাকরণ মেট্রো স্টেশন থেকে ২৬০০ এরও বেশি যাত্রী কবি সুভাষ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। পাশাপাশি ১৩০০০ এরও বেশি যাত্রী দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত গেছেন এবং ৩৬০০০ যাত্রী গ্রিন লাইনের এই প্রসারিত বিভিন্ন স্টেশন থেকে রবীন্দ্র সদনে ভ্রমণ করেছেন।
এই আদান-প্রদানকে আরও মসৃণ এবং আরও নমনীয় করার জন্য, ওল্ড এসপ্ল্যানেড স্টেশন (ব্লু লাইন) এবং নিউ এসপ্ল্যানেড স্টেশন (গ্রিন লাইন) এর মধ্যে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে কিউ ম্যানেজার স্থাপন করা হয়েছে। যা যাত্রীদের অবাধে চলাচল করার সুযোগে দিচ্ছে। এদিকে প্ল্যাটফর্ম এবং কনকোর্স এলাকার মেঝেতে রঙিন পায়ের ছাপ, সিলিংয়ে নির্দেশক তিরের পাশাপাশি অসংখ্য ব্যানার এবং স্টিকার যাত্রীদের তাদের উপযুক্ত প্রবেশ/প্রস্থান পয়েন্টের দিক নির্দেশ করতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি ট্রেনগুলিকে মসৃণভাবে খুঁজে পেতে এগিয়ে এসেছেন মেট্রো স্টাফ এবং আরপিএফ কর্মীরাও।