নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতেই পুরনো চেহারায় ভাঙড়

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সপ্তম দফা ভোট শুরুর আগেই আবারও পুরনো চেহারায় ভাঙড়। পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি ছড়াল ভাঙড়ে। মধ্যরাতে পতাকা লাগানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও আইএসএফ। এমনকী মেরে তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পালটা আইএসএফ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল ভাঙড়ের চণ্ডীহাট গ্রামে।

তৃণমূল কর্মীদের দাবি, তাঁরা দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে আইএসএফ-এর সমর্থকরা গালাগালি করে। তার প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় মোট তিনজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে আইএসএফ কর্মীদের দাবি, তাঁরা যখন দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন সেই সময় তৃণমূল এসে বাধা দেয়। তাদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মারধরে আহত আইএসএফ কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

এদিকে আবার রাতেই আইএসএফ প্রার্থীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আইএসএফ প্রার্থী। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের রানিগাছি এলাকায় সংঘর্ষ হয় আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ এজেন্টেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি। খবর পেয়ে রাতেই রানিগাছি এলাকায় পৌঁছন আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান। অভিযোগ, সেই সময় প্রার্থীর গাড়ি ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা এবং ভাঙচুর চালান হয়। ভাঙা গাড়ি নিয়ে ভাঙড় থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রার্থী। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

অন্যদিকে আবার রাতভর ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় উঠল বোমাবাজির অভিযোগ। বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। আইএসএফ-এর দাবি ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তৃণমূলের দাবি, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই সারারাত ধরে এলাকায় বোমবাজি করেছে। এই ভাবে ভোটের আগে আইএসএফ মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রাখতে চাইছে বলেই দাবি তৃণমূলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + eleven =