ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এক কর্তব্যরত জওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল, বিটি রোডের পাইকপাড়া এলাকা। অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ।
সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ান শেষ দফার নির্বাচনে বারুইপুরে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি ডিউটি সেরে রবিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় পাইকপাড়া এলাকায় ঘুরছিলেন। এরপর পাইকপাড়া এলাকাতেই এক বাড়িতে দরজা খুলে অতর্কিতে ঢুকে পড়েন। সে সময়ে ঘরে সেই মহিলা বিছানায় ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই ওই মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপরই প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চিৎপুর থানার পুলিশ। ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেস অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানায়, কলকাতায় এক মহিলার বাড়িতে রাতে শ্লীলতাহানি করতে ঢুকে পড়েন সিআরপিএফ জওয়ান! এই ঘটনায় তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন জানান, ‘অবাক হওয়ার নেই। আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিজেপিকে ভোট দিতে বলছে, গুলি করে মেরে দিচ্ছে. মেয়েদের শারীরিক নির্যাতন করছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’
প্রসঙ্গত, উলুবেড়িয়া, জাঙ্গিপাড়া, ঘাটালের পর এখন কলকাতা, সেন্ট্রাল রিজার্ভ প্রিডেটরি ফোর্সের এক জওয়ান এই ঘটনায় জড়িত। বারবার বাংলার মহিলাদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সিআরপিএফ-এর এই ধরনের নারী-বিরোধী কার্যকলাপের মুখে নীরব?
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট চলাকালীন এই ধরণের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় তফসিলি জনজাতির এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরার ১২৯ নম্বর চকসাহাপুর বুথে লোধা সম্প্রদায়ের ওই বধূকে জল খাওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়াতেও এই ধরণের একটি অভিযোগ উঠে এসেছিল। এবার একই ধরণের অভিযোগ উঠে এল চিৎপুর থানা এলাকা থেকে।