মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের গণনা। এরমধ্যেই আরও এক ভোটের প্রস্তুতি কমিশনে। কারণ, সোমবার মানিকতলা উপনির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং সংশ্লিষ্ট সূচি মুখবন্ধ খামে সুপ্রিমকোর্টে জমা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ আরও এক ভোটের সম্ভাবনা তৈরি হল বঙ্গে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও সময় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ও বিধি ঘোষণা হতে পারে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। সেই থেকে মানিকতলা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য। অথচ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন বলে, কোনও বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। তবে মানিকতলার ক্ষেত্রে তা হয়নি। এর কারণ আইনি জটিলতা। একুশে এখানে বিজেপির প্রার্থী হন কল্য়াণ চৌবে। হেরে যান কল্যাণ এবং এই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোর্টে যান। সেই মামলা ঝুলে ছিল এতদিন ধরে। তবে কলকাতা হাইকোর্টে কল্য়াণ যে নির্বাচনী পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তা সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নেন। ফলে জট কাটিয়ে এবার মানিকতলায় ভোট হতে চলেছে।
কলকাতা উত্তর লোকসভার মধ্যে পড়ে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। এক সময় বামেদের দুর্গ ছিল এই বিধানসভা। সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে পরেশ পালের হাত ধরে ডানপন্থী হাওয়া ঢোকে মানিকতলায়। প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হন পরেশ পাল। ২০০১ সালে ঘাসফুল ফোটান তিনিই। ২০০৬ সালে সিপিএমের রূপা বাগচি জিতলেও ২০১১ থেকে টানা তৃণমূল। সেই থেকে এখানে বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে।