দেওয়াল লিখন নিয়েও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শেষ মুহূর্তে জারি নির্দেশিকা

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখনের কাজ প্রায় শেষ। সেই দেওয়াল লিখন নিয়ে একেবারে অবশেষে নড়েচড়ে বসতে দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। দেওয়াল দখলের লড়াই নিয়ে গ্রাম বাংলায় রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে গত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেওয়াল লেখা নিয়ে কোনও জবরদস্তি চলবে না। সরকারি সম্পত্তির দেওয়ালে কোনও রকম ভোটের প্রচার চলবে না। লাগানো যাবে না হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানারও। বেসরকারি বাড়ি বা সম্পত্তির দেওয়াল ব্যবহার করতে হলে মালিকের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, অনুমতি নাদেওয়াল লিখন মুছতে খরচ আদায় করা হবে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, বেসরকারি সম্পত্তির দেওয়ালে রাজনৈতিক দল বা ভোটের প্রচার দেখলেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছে জানতে চাইতে হবে, অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। যদি অনুমতি থাকে তা দেখাতে হবে। যদি কেউ অনুমতি না দেখাতে পারেন তবে সেই রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে নোটিস দিয়ে দেওয়াল লিখন মুছে দিতে, পোস্টার-ব্যানার খুলে দিতে বলতে হবে। যদি নির্দেশ কেউ না-মানেন তবে প্রশাসনের তরফেই লিখন মোছা, ফ্লেক্স-ব্যানার খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্যে যা খরচ হবে, তা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই আদায় করা হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচনের কাজে যুক্ত সব আধিকারিককে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের। দেওয়াল লিখন নিয়ে রাজ্যে এমনিতে আইন রয়েছে। আগে তা শুধু কলকাতায় প্রযোজ্য ছিল। এখন সারা রাজ্যেই প্রযোজ্য। কিন্তু আইন না-মানার নজির প্রচুর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে এও সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার ঠিক নেই। এদিকে রাজনৈতিক দলগুলি বা তাদের প্রার্থীরা কমিশনের নির্দেশে কতটা গুরুত্ব দেবেন, সেটাও দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =