রাজু ঝা হত্যার ঘটনায় বৈশালী থেকে ধৃত ২

রাজু ঝা খুনে বড়সড় সাফল্য পেল সিট। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিহারের বৈশালী থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছেন সিটের তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম মুকেশ কুমার ও পবন কুমার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনেরই বাড়ি বিহারে। বৈশালী জেলার মথুরাচকে মুকেশের বাড়ি। বৈশালী জেলারই জুলুয়ারপুর গোবর্ধনপুরে পবনের বাড়ি। সেইমতো বুধবার দু’জনকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম আদালত।

উল্লেখ্য, রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি কয়লা কেলেঙ্কারির বিষয়টি যুক্ত বলে এর তদন্তও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ আলাদা হয়। গত ২২ জুন এই খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।  কারণ, কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল তার পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই পুনরায় তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্তে নেমেই বড়সড় সাফল্য সিটের।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। শক্তিগড়ের কাছে একটি মিষ্টির দোকানের সামনে তাঁর উপর আক্রমণ চালানো হয়। গাড়িতে বসে থাকাকালীন তাঁর উপর গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরেই বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। তাঁরাই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মাঝেই দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর এক কর্মী অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী দল। পরে বিহারের রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ গিরি এবং লালবাবু নামে আরও দু’জনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত, রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের সময় গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তি আবদুল লতিফ কয়লা পাচারে সঙ্গে অভিযুক্ত ছিল বলে জানা যায়। সেই ব্যক্তির সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল বলেও জানা গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =