অহংয়ে ধাক্কা শোহমের

অশান্তি নিউটাউনের সাপুরজির একটি রেস্তোরাঁর সামনে। তাতেই নাম জড়ায় অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। শুক্রবার এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায় ওই এলাকায়। সোহমের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে। সোহম অবশ্য তা স্বীকারও করে নেন। সোহমের দাবি, তাঁকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন রেস্তোরাঁ মালিক। এমনকী তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাজে কথা বলেন। এরপরই তিনি চড় মারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর কমিশনারেটের টেকনোসিটি থানার পুলিশ। সূত্রে খবর, শুক্রবার নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন লাগোয়া একটি রেস্তোরাঁর ভাড়া নিয়ে তার দোতলায় এক সিনেমার শুটিং চলছিল সোহমের। সন্ধে নাগাদ রেস্তোরাঁ মালিক এসে দেখেন, সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি রাখা। তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গাড়িটি ছিল সোহমের। নিরাপত্তারক্ষীরা তা জানানোর পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রেস্তোরাঁ মালিক। সেসময় রেস্তোরাঁর দোতলায় শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সোহম। বাইরে চিৎকার শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। রেস্তোরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় সোহম নাকি সোজা মারধর শুরু করেন! এনিয়ে অশান্তি গড়ায় বহু দূর।

ঘটনা প্রসঙ্গে সোহম জানান, ‘আমি শট দিচ্ছি। হঠাৎ খুব চিৎকার চেঁচামেচি। নিচে এসে জানতে চাই কী হয়েছে? আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করছে। মালিককে বলতেই ঔদ্ধত্য দেখাতে শুরু করেন। শুনলাম বলেছেন কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই। আমাকে খিস্তি করেছে। সবথেকে বড় কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাজে কথা বলেছেন। তখনই মাথাটা গিয়েছে গরম হয়ে যায়। বাদবাকি এমন কিছু না। তবে এমন বাজে ব্যবহারে আমরা অবাক।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘দু’ চারটে চড় মেরেছি, ধাক্কা দিয়েছি। আমরা দিনের শেষে তো একটা মানুষ। আমাদেরও আবেগ অনভূতি থাকে। আর অভিষেকের নামে বললে তো মানব না। লোকাল থানায় জানিয়েছি। অফিসাররা এসেছিলেন।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − eight =