মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কি শ্রেয়াই, শুরু জল্পনা

২০২২ সালে প্রয়াত হন মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। তখন থেকেই বিধায়কহীন উত্তর কলকাতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই এলাকা। অবশেষে সোমবার মানিকতলায় উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ১০ জুলাই এখানে ভোট। আর এবার সকলে মুখিয়ে, এই কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করে তৃণমূল তা দেখতে। সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর এই কেন্দ্র আঁকড়ে রেখেছেন তাঁর মেয়ে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী শ্রেয়া পাণ্ডে।

এদিকে শ্রেয়াকেবিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে কি না তা নিয়ে চলছে জল্পনা। আর এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া জানান,

‘এটা আমি বলতে পারব না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন। দল আমাকে মানিকতলা বিধানসভার আহ্বায়ক করেছিল। আজ অবধি যতটা পেরেছি দায়িত্ব পালন করেছি। বিধায়কের কোন‌ও তহবিল না থাকলেও মানিকতলার বাসিন্দাদের পাশে থেকেছি। ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত।’

এদিকে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত বেশ কিছু ওয়ার্ডে বিজেপি বেশ ভাল ফল করেছে। লোকসভা ভোটের একেবারে গায়ে গায়ে উপনির্বাচন। শ্রেয়া পাণ্ডে অবশ্য জানাচ্ছেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আমাদের ভোট পাঁচ গুণ বেড়েছে। জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।’

এখানে বলে রাখা শ্রেয় ,মানিকতলা বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। ১৯৯৬ সালে পরেশ পালের হাত ধরে ডানপন্থী রাজনীতির সূচনা এখানে। যদিও ২০০৬ সালে আবারও সিপিএম এখানে ক্ষমতায় আসে। তবে ২০১১ সাল থেকে পর পর তিনবারের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। ভোট ঘোষণা হতেই কিছুটা আবেগপ্রবণ শ্রেয়া। তিনি বলেন, বছর তিনেক আগে এক জুলাইয়ে বাবা অসুস্থ হয়েছিলেন। আরও একটা জুলাই আসছে। এবার মানিকতলার ভোট। বাবার আশীর্বাদকে পাথেয় করেই ভোটের ময়দানে তাঁদের লড়াই বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =