শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি

তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই একের পর এক  বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে। এবার ইডির চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, শাহজাহানের জমি দুর্নীতির টাকা পৌঁছেছিল তৃণমূলের ফান্ডে। আর এই তথ্য মিলেছে সন্দেশখালির স্বঘোষিত ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বয়ান থেকেই, এমনটাই দাবি ইডির। চার্জশিটে ইডি আরও উল্লেখ করেছে, মাছ রফতানির নামে পাঁচ বছরে ১৯৮ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন শাহজাহান।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বর্তমানে ইডি-র নজরে রয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ পাঁচজন। এদের প্রত্যেকের খোঁজও চলছে। এদের নামে সংস্থা খুলে টাকা সরানো হয়ে বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার। জেলিয়াখালিতে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা ৯০০ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। এ প্রসঙ্গে  ইডি-র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘তদন্তে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে শাহাজাহান শেখ সাবিনা মাছের রফতানি করে মোট আয় করছেন ৯০ কোটি। এই অর্থের পুরোটাই কালো টাকা না হলেও গরিষ্ঠ অংশ তো বটেই। ’ অপরদিকে, শেখ শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেন প্রশ্ন তোলেন, ‘আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তোলা হয়নি। এটা কি বেআইনি নয়? কোর্টকে বললাম সিদ্ধান্ত নিতে।‘ পাল্টা আবার ইডির আইনজীবী বলেন, ‘আদালত তাদের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কোর্ট জানিয়েছে শাহজাহানকে গ্রেফতার বা আদালতে তোলার মধ্যে কোনও ভুল নেই।’

অপরদিকে, বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইডি নিশ্চয় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে। স্বাভাবিকভাবে দুপক্ষেরই আইনজীবী আছে। এখন রাজ্যের ভাবমূর্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আর শাহজাহানের এই আধিপত্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া তো করা সম্ভব ছিল না। তাই টাকা লুট করলেও সবটাই আত্মসাৎ করতে পারেনি। কোথাও না কোথাও তা পৌঁছেছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − nine =