শেখ শাহজাহানের ডেরায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের। শুধু তাই নয়, এই আক্রমের জেরে রক্তাক্তও হতে হয় ইডি-র আধিকারিকদের। আক্রমণের ভয়বহতা এতটাই বেশি ছিল যে তার জেরে শাহজাহানের বাড়িতে সেদিন ঢুকতেই পারেনি ইডি। এই ঘটনার প্রায় একমাস পরে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান। আপাতত জেলে বন্দি সন্দেশখালির স্বঘোষিত এই বাঘ। কিন্তু সে দিন ঠিক কী কারণে ইডি-র ওপর ওইভাবে হামলা হল চার্জশিটে এবার তারই উল্লেখ করা হল অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে বসিরহাট আদালতে শেখ শাহজাহান সহ সাতজনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে সিবিআই-এর দাবি, অস্ত্র লুকোতেই সে দিন হামলা চালানো হয়েছিল। বেশ কিছু অস্ত্র ও নথি ছিল, যা লুকতে ইডি অফিসারদের এভাবে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল।
শেখ শাহজাহানকেই ওই চার্জশিটে মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অস্ত্র যে সন্দেশখালিতে ছিল, তা কার্যত প্রমাণ হয়ে যায় গত এপ্রিল মাসেই। ২৬ এপ্রিল প্রচুর বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ওই এলাকায়। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খা-এর আত্মীয় আবুতালেব মোল্লার তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। সে দিন এলাকায় পৌঁছেছিল এনএসজি। পরে ওই সন্দেশখালিতেই গোলাম শেখ নামে আর এক ব্যক্তির কাছ থেকেও উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। সেটা ছিল সন্দেশখালির রামপুরের পিঁপড়েখালি খেয়াঘাটের ঘটনা।