নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতের লেখা পরীক্ষা করাতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল থেকে পাওয়া এক চিঠির হাতের লেখা পরীক্ষা করাতে নমুনা সংগ্রহের ভাবনা করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এ ব্য়াপারে তারা ইতিমধ্য়ে আর্জিও জানিয়েছে আদালতে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। সেই সময় বনদফতর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প পুনর্গঠন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে জেলবন্দি থাকার পর মন্ত্রিত্ব হারান জ্যোতিপ্রিয়।
এদিকে ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, গ্রেফতারির পর ‘অসুস্থ’ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে বসে মেয়েকে একটি চিঠি পাঠান জ্যোতিপ্রিয়। সেটি সিআরপিএফের হাতে পড়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে সিআরপিএফ চিঠিটি খুলে দেখতে বাধ্য হয়। সেই চিঠিতে নাম ছিল শংকর আঢ্যর। এছাড়া ওই চিঠিতে শেখ শাহজাহান, রবীন্দ্র এবং ডাকু নামে আরও তিনজনের নাম উল্লেখ ছিল। তাতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশ ছিল বলে খবর।
ওই চিঠিই তদন্তের মোড় ঘোরায়। শংকর আঢ্য চলে আসেন ইডির স্ক্যানারে। তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। তার পরই গ্রেফতার করা হয় শংকর আঢ্যকে। ধরপাকড়ের পরেও নিজেকে নির্দোষ বলে বারবার দাবি করেন তিনি। হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে চিঠি লেখার জন্য কাগজ, পেন পেলেন জ্যোতিপ্রিয়, প্রশ্নও তোলেন শংকর আঢ্য। ইডি সূত্রে খবর, চিঠি উদ্ধারের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বয়ান নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই চিঠির ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে উদ্যোগী তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশের পরই নেওয়া হবে ব্যবস্থা, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।