ক্রমেই অস্বস্তিতে সোহম, সরে দাঁড়ালেন রচনাও

ক্রমেই আরও অস্বস্তিতে সোহম। দেব, মদন মিত্রের পর এবার সোহমের পাশে দাঁড়ালেন না রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর রেস্তোরাঁ কাণ্ড নিয়ে হুগলির সদ্য জয়ী তৃণমূল সাংসদ জানান, ‘যা হয়েছে তা ভালো হয়নি।’ এই প্রসঙ্গে রচনা জানান, ‘প্রত্যেক মানুষ আলাদা। চিন্তাভাবনা আলাদা। কে নিজেক জীবন কেমনভাবে সকলের সামনে তুলে ধরবে, তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি আমার মতো, সোহম সোহমের মতো। এই ঘটনাটিকে কেউই সমর্থন করে না। কিন্তু সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক কী ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিল, তা সোহম জানে। আমি উপস্থিত ছিলাম না, তাই বলতে পারব না। কিন্তু যা হয়েছে, তা ভালো হয়নি। কীসের আঙ্গিকে এই ঘটনা ঘটল, তা একমাত্র সোহমই বলতে পারবে।’

উল্লেখ্য, শুটিং করার সময় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে রেস্তোরাঁ মালিককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত রেস্তোরাঁর মালিক। অভিযোগ, এই অভিযোগ দায়ের করার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। বুধবার মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন রেস্তোরাঁ মালিক। বিচারপতি অমৃতা সিনহা অনুমতি দেন।

সোহমের এমন আচরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ও অভিনেতা দেব। তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি বলে নয়। কোনও মানুষেরই এমন করা উচিত নয়। এবং সোহমের মতো একজন বুদ্ধিমান বলেই ভাবতাম, সোহম আমার ভালো বন্ধু, কিন্তু বন্ধু বলে ওর যে সবটা ভালো, তা কিন্তু নয়। যেদিন এই ঘটনটার কথা শুনেছিলাম, সেদিনই সোহমকে ফোন করেছিলাম। ওকে নিজের মতো করে বলেছি। আজকেও সংবাদমাধ্যমের কাছে বলছি। যেটা হয়েছে, সেটা উচিত হয়নি।’ ঘাটালের সাংসদ-অভিনেতার এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন মদন মিত্র। দেব ‘দাদাগিরি’ করছেন বলেই দাবি করেন কামারহাটির বিধায়ক। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন রচনাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − eight =