ইংরেজিতে একটা আপ্তবাক্য আছে ‘ফরচুন ফেভার্স দ্য ব্রেভ।’ পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সাহসী ক্রিকেট খেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার পর পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার এইটের দরজায় কড়া নাড়ছিল তাঁরা। শেষমেষ ভাগ্য সঙ্গ দিল। তবে তাঁদের কৃতিত্বকে কোনওভাবে খাটো করা যায় না। বরং, প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারেনি বাবররা। তারই খেসারত দিতে হল। অন্যদিকে অভিষেকেই ক্রিকেটের লিলিপুটদের বড় প্রাপ্তি।
অঙ্ক বলছে, চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে গত তিন ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র একটিতে জয়লাভ করতে পেরেছে পাকিস্তান। ফলে ঝুলিতে ছিল মাত্র ২ পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তারা আমেরিকা বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিল। এই ম্যাচে যদি আমেরিকা হারত, তাহলেও পাকিস্তানের সামনে পরের রাউন্ডে যাওয়ার একটা ক্ষীণ সুযোগ তৈরি হত। কিন্তু, ফ্লোরিডায় ব্যাপক বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচই আয়োজন করা সম্ভব হল না। আর তারই জেরে পাকিস্তানকে এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল।
এবারের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের যাত্রাপথ একেবারে মসৃণ হয়নি। প্রথমে তারা দুর্বল আমেরিকার কাছে হেরে যায়। পাকিস্তানের এই পরাজয়ের পর সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছিল। আশা ছিল, ভারতকে হারাতে পারলে হারানো সম্মান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু, টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ১২০ রানের টার্গেটও তাড়া করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৪ রানে বাবরদের হার স্বীকার করতে হয়। মেন ইন গ্রিনের এই পারফরম্যান্স নিয়ে পাকিস্তানের সমর্থকরা বেজায় ক্ষেপে রয়েছেন। সমর্থকদের একাংশ তো আবার বাবরদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও তুলতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সম্মানরক্ষার এই ম্যাচে পাকিস্তান নিজেদের মান বাঁচাতে পারে কি না, আইরিশদের হারিয়ে ৪ পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারে কি না; সেদিকেই আপাতত সকলে তাকিয়ে।