উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সংঘাতে বাম-কংগ্রেস

উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে শুরু টক্কর। এই সংঘাত যে হবে তার আঁচ আগেই মিলেছিল উপনির্বাচনের জন্য বামেদের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই। এবার সেই সংঘাত সত্যিই হল। বাগদায় বামেদের ঘাড়ের উপর দিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। চার বিধানসভা আসনের উপভোটের জন্য তিনটিতেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা। মানিকতলা ও রানাঘাট দক্ষিণে সিপিএম। বাগদায় ফরওয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেসের জন্য ছাড়া হয়েছিল শুধু রায়গঞ্জের আসন। বাম-কংগ্রেস জোট কতটা সফল হবে উপভোটে, সেই নিয়ে তখন থেকেই চর্চা শুরু হয়েছিল। এবার কংগ্রেসের তরফে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করা হল। রায়গঞ্জ তো বটেই, সঙ্গে বাগদাতেও প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস।

আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে রায়গঞ্জ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন মোহিত সেনগুপ্ত। বাগদা থেকে লড়বেন অশোক হালদার। এদিকে আবার বাগদায় বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও প্রার্থী করেছে গৌর বিশ্বাসকে। উল্লেখ্য, বাম জমানায় এই বাগদা আসন ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্যতম ঘাঁটি। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোট পর্যন্তও এখানে প্রার্থী দিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলায় বাম-কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে চলা শুরু করতেই বাগদার শরিকী আসনে কোপ পড়ে। ২০১৬ সাল ও ২০২১ সাল দু’বারই বাগদার আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিতে হয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লককে। ২০১৬ সালের ভোটে কংগ্রেস বাগদা থেকে জিতলেও, ২০২১ সালে আবার পিছিয়ে তিন নম্বরে নেমে আসে।

এমন অবস্থায় এবার উপভোটে বাগদা আসন থেকে ফের বামফ্রন্টের থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিয়েছে বাগদায়। আবার কংগ্রেসও নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরমহলে কানাঘুষো, বাগদা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রত্যাহার না করলে, বাকি দু’টি আসন অর্থাৎ, মানিকতলা ও রানাঘাট দক্ষিণেও প্রয়োজনে প্রার্থী দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে কংগ্রেস।

এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়েও দেখা গিয়েছিল, আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সেভাবে কোনও সমস্যা না হলেও, বাম শরিক দলগুলির সঙ্গেই মূলত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এবার উপভোটের সময়েই সেই বাম শরিক দলের সঙ্গেই আসন নিয়ে সমস্যা কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে কী অবস্থান হতে পারে সিপিএমের তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙতে চাইছে না। আবার যে শরিক দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে রয়েছে, তাদেরকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সিপিএম। এমন অবস্থায় মধ্যবর্তী কী অবস্থান নেওয়া যায়, সেটাই কথা বলে চূড়ান্ত করবে সিপিএম নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =