নির্বাচন মিটতেই দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাসকে। ২০২৪-এর লোকসবা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে রেকর্ড মার্জিন ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটে পরাজিত হন ববি।
এদিকে এই নির্বাচন মেটার পরই তাঁকে রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। তবে এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য গোটা বিষয়টিই অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি কোনও চিঠি পাইনি। এই চিঠি তো ফেকও হতে পারে, কে লিক করল?’ তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা না মানার জন্য ওনাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। তাঁদের সামনেই বিজেপির একাংশের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, এই বিক্ষোভের সময়ে অভিজিৎ দাস থাকলেও, তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাই দল বিরোধী কাজের জন্য তাঁকে ‘সাময়িকভাবে’ বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি রাজ্যে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁকে চিঠি দিয়ে শোকজও করা হয়েছে বলে খবর৷ আগামী সাত দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে ইতিমধ্যেই শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিজিৎ অবশ্য জানাচ্ছেন, তিনি কোনও ইন্ধন দেননি। সেদিন তিনি ছিলেনও না। সঙ্গে এও জানান, ‘এই চিঠি কীভাবে সামনে এল, দলের কাছে জানতে চাইব। আমি তো রিক্সাওয়ালা ভ্যানওয়ালা নয়, যে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেবে, আমি দীর্ঘদিনের কার্যকর্তা। চিঠি পেলে যা বলার বলব।’’ সরাসরি না বললেও ঠারেঠোরে অভিজিতের অভিযোগ, দলেরই একাংশ চিঠি ‘লিক’ করেছে৷ তাঁদেরই বিরুদ্ধে নজর ঘোরানোর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অভিজিৎ দাস।