গুজরাত থেকে ধৃত এক বাংলাদেশি। গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, আদতে বাংলাদেশি মুসলিম হলেও ধর্মীয় পরিচয় জাল করে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপান করে সে। আর এই জাল ধর্মীয় পরিচয় তৈরি হওয়ার পিছনে সামনে আসছে বঙ্গের যোগ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার যোগ তুলে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গের দিকেই।
সূত্রে কবর, গুজরাতের সুরাট পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক। ওই বাংলাদেশি ব্যক্তির আসল নাম মিনার হিমায়াত সর্দার। কিন্তু নথিপত্র জাল করে সে হয়ে গিয়েছে শুভ দাস। সুরাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে ধরা পড়েছে ওই বাংলাদেশি মুসলিম। এই পুরো ঘটনা গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেন। গুজরাতের পুলিশ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় চলা একটি মাদ্রাসার সাহায্য নিয়ে ওই ব্যক্তি ধর্মীয় পরিচয় জাল করেছিল। মাদ্রাসার থেকে পাওয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেই হিন্দু নামে জাল নথিপত্র বানিয়েছিল ওই বাংলাদেশি মুসলিম।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার এই যোগের অভিযোগটি গুজরাতের পুলিশ প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গুজরাতের এই মন্ত্রী আরও লিখেছেন, শেষ বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসাগুলির জন্য ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে।
এই ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত অভিযোগের সুর আরও চড়িয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশি মুসলিমদের হিন্দু করার নথিপত্রের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলার মাদ্রাসাগুলিকে। মাদ্রাসাগুলির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ আর এখানেই সুকান্তর প্রশ্ন, এতে রাজ্য সরকারের সমর্থন রয়েছে কি না তা নিয়েও। পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলেও। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আবার এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারেই। এদিকে শনিবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দিনের সফরে শেষে ফিরেছেন দিল্লি থেকে। শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে। সেলিমের প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশ থেকে কী করে এদেশে চলে আসছে এভাবে, সেটা কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে? এগুলি তো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে হয়।’