খাস কলকাতায় ব্যবসায়ী অপরহরণ, ধৃত ৮

খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ। এরপর মুক্তিপণ দাবি করে বাড়িতে ফোন। ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াড ও তিলজলা থানার যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় সেই ব্যবসায়ীকে। পুলিশ তদন্তে নেমে মুকুন্দপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে। গ্রেফতার করা হয় মোট ৮ জনকে। এখনও অধরা কয়েকজন বলে মনে করছে পুলিশ। যে গাড়িতে অপহরণ করা হয়েছিল, তার খোঁজে নেমেছেন তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গেল শহর কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ, নিউ মার্কেটের মতো জনবহুল এলাকা থেকে ব্যবসায়ীকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ইরফানকে। দিনেদুপুরে জনবহুল রাস্তায় এই ঘটনায় ফের শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, তিলজলার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর নাম মহম্মদ ইরফান। পুলিশ সূত্রে খবর, তিলজলার ওই ব্যবসায়ী নরেন্দ্রপুর এলাকায় একটি কল সেন্টার চালাতেন। কিছুদিন আগেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কল সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়।

এদিকে এই ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জুন অর্থাৎ শুক্রবার। তিলজলা থানা এলাকায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেরন মহম্মদ ইরফান নামে এক যুবক। ২২ তারিখ রাত পর্যন্ত ছেলে না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবার তিলজলা থানায় যোগাযোগ করে। তিনি জানান, ছেলেকে ফেরানোর নামে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাঁর কাছে। টাকা না পেলে ইরফানকে খুন করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। তাতে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবার। অপহৃত যুবকের বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে তিলজলা থানা ও লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,  নিউ মার্কেটের আশেপাশের কোনও এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ইরফানকে। এর পর কসবা নরেন্দ্রপুর এলাকার একাধিক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফোন করা হয় মুক্তিপণের জন্য। শেষমেশ মুকুন্দপুরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় তাঁকে। ইরফানের অভিযোগ, ১২ লক্ষ টাকা হাতে না পেলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এরপরই মুকুন্দপুরের এক হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করার সঙ্গে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় গৈরিক মুখোপাধ্যায় ওরফে ডেভিড এবং বিবেক নামে দুজনকে। তাদের সূত্র ধরে আরও ৬ জন পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। তদন্ত চলছে এখনও। কী উদ্দেশে ইরফানকে অপহরণ করা হয়েছিল, কারা ছিল এর নেপথ্যে, সমস্ত তথ্য জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। তবে যে তথ্য আপাতত সামনে এসেছে তাতে তিলজলার ওই ব্যবসায়ী একজনের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা কিছুতেই পরিশোধ করেছিলেন না। অভিযোগ, এরপরেই ওই ব্যক্তি টাকা আদায়ের জন্য ওই ইরফানকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 1 =