বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে শপথবাক্য পাঠ করতে চেয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই চিঠিরই পাল্টা উত্তর পাঠানো হল রাজভবনের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, রাজভবন থেকে পাঠানো এই তিন পাতার চিঠিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন বুধবার রাজভবনে এসেই তাঁদের শপথ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে শপথবাক্য পাঠ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রায়ও। তবে এ দিনের চিঠিতেও কিন্তু কোথাও উল্লেখ নেই রাজভবনে কে নব নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তবে থরে থরে লেখা ছিল মুখ্যমন্ত্রী সহ আর কে কে রাজভবনে শপথ নিয়েছেন। তাই সায়ন্তিকা-রেয়াতকে শপথ নিতে হবে রাজভবনেই এটাই এই চিঠিতে স্পষ্ট করেছেন রাজ্যপাল বোস।
মূলত, বরাহনগর ও ভগবানগোলার নির্বাচিত বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ গ্রহণ ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্য-রাজভবনের জটিলতা চলছে। প্রথমে নতুন দুই বিধায়কের শপথের জন্য রাজভবনকে চিঠি পাঠায় বিধানসভার সচিবালয়। এরপরই রাজভবনের পক্ষ থেকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রবীণ মহিলা বিধায়ক-নবীন বিধায়ক কে রয়েছেন? তবে শপথ গ্রহণের সঙ্গে সেই চিঠির কী সম্পর্ক তা বুঝে উঠতে পারেনি বিধানসভার অধ্যক্ষ। এরপর ফের বিধানসভা চিঠি দিয়ে রাজভবনকে দ্রুত শপথ বাক্য পাঠের আবেদন করে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সায়ন্তিকা ও রেয়াত হোসেনকে চিঠি পাঠায় রাজভবন। যদিও রেয়াতের দাবি তিনি কোনও চিঠি পাননি। অপরদিকে সায়ন্তিকার বক্তব্য, চিঠিতে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সে কথা উল্লেখ নেই। সোমবার ফের সায়ন্তিকা চিঠি পাঠান সি ভি আনন্দ বোসকে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিধানসভার সদস্য যখন আমি। তখন স্পিকার যদি শপথ বাক্য পাঠ করান তাহলে ভাল হয়। আপনি (রাজ্যপাল) এটা কনসিডার করুন। আমি এলাকার কাজ করতে পারছি না।’
এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ‘বিধানসভায় বিধায়করা শপথ নেবেন এটাই নিয়ম। শুধুমাত্র তৃণমূল ও তৃণমূল বিধায়কদের বিব্রত করতেই রাজ্যপাল বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই এই অসহযোগিতা করছেন।’