আনুষ্ঠানিকভাবে সিবিআই গ্রেফতার করল কেজরিওয়ালকে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে নতুন করে আবেদন পেশ করার ছাড়পত্র দিয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরেই তিহারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই মতো বুধবার দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে হাজির করেন তিহার কর্তৃপক্ষ। দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্য রাখেন বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে। সেখানেই সিবিআই কেজরিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বুধবার আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই একের পর এক প্রশ্ন করেন কেজরিকে। তখনই অফিসিয়ালি গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। তখনই ব্লাড সুগার কমে যাওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেজরিওয়াল।
রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে এদিন শুনানির শুরুতেই কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন। তবে কেজরির আইনজীবীরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা পক্ষপাতদুষ্টভাবে কাজ করছে। গত বছরের এপ্রিলে কেজরিবালকে ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর, এতদিন বাদে কেন হঠাৎ তাঁকে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল। এরপরে কেজরিকে মামলায় সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এদিকে সপক্ষে আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী বলেন, ’একজন নিরীহ নাগরিক বনাম রাজ্যের ক্ষমতার লড়াই। ২০২২ সালের অগাস্ট মাস থেকে এই মামলা ঝুলে রয়েছে। আমার মক্কেল হাজিরা দিয়েছেন, ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন। এরপর একটাও নোটিস পাঠানো হয়নি। হঠাৎ কীভাবে তাঁকে সাক্ষী থেকে অভিযুক্ত করে দেওয়া হল?’ সিবিআই জবাবে বলে, ‘অকারণে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের আগে বা নির্বাচন চলাকালীনও গ্রেফতার করতে পারতাম, কিন্তু করিনি। আদালতের অনুমতির পরই এই কাজ করা হয়েছে। ধরা যাক, যদি তদন্ত হয়, আমরা কেজরিওয়ালকে বলতে বাধ্য নই, আদালতে আমরা জানাব যে হেফাজত চাই।’