শহরে শুরু হকার সার্ভে

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত ৫ সদস্যের হাই পাওয়ার কমিটি শুক্রবার থেকেই শহরে শুরু করল হকার সার্ভে। আর এই পরিদর্শনে শুক্রবার সকালেই গড়িয়াহাটে যান দেবাশিস কুমার। এদিন পরিদর্শনের সময় তিনি জানান, ‘আজকে মূলত সার্ভে করা হচ্ছে। রিপোর্ট কমিটির কাছে জমা করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, সার্ভের ক্ষেত্রে একটা ফর্ম হকারদের দেওয়া হচ্ছে। তাতে স্টল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য, তাঁরা কতদিন ধরে হকারি করছেন, কতগুলো স্টল রয়েছে, যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে। সেই সার্ভে ফর্ম জমা পড়বে হাই পাওয়ার কমিটিতে। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, ফর্মগুলো নিয়ে হাই পাওয়ার কমিটির কাছে পেশ করা হবে। সেই অনুযায়ী, সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এর পাশাপাশি শহরের মেয়র এবং মন্ত্রী ববি হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ডেপুটি মেয়র এবং বিধায়ক অতীন ঘোষ, বিধায়ক মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদাররাও সকাল ১০ টায় দক্ষিণের গড়িয়াহাট এলাকা থেকে সার্ভে শুরু করেন।

এরপর শুক্রবার থেকেই নজরে আসে ফর্ম ফিল আপের লাইন। প্রাথমিকভাবে একটি ‘ফর্ম’ তৈরি করা হয়েছে হাই পাওয়ার কমিটির তরফে। শুক্রবার থেকেই সেগুলি তুলে দেওয়া হয় হকারদের হাতে। কীসের স্টল, কতদিন ধরে ব্যবসা করছেন- এই সব তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করে জমা জিতে হবে কমিটির কাছে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে ওই হকারদের। কোন স্টল কতটা জায়গা জুড়ে থাকবে, কাদের কাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে নেবে এই কমিটি। স্টল বা ডালার জন্য কতটা জায়গা বরাদ্দ করা আছে, যদি না থাকে তাহলে তাদের নিকটবর্তী কোনও অন্য জায়গায় বিকল্প পুনর্বাসন কীভাবে দেওয়া যেতে পারে এইরকম একগুচ্ছ বিষয়ে নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, হকার উচ্ছেদ এখনই নয়। এক মাসের সময় সীমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এও নির্দেশ দেন, এক মাসের মধ্যে নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, সর্বত্র একটি বিল্ডিং খুঁজে বার করতে হবে। সেখানেই এক ছাতার তলায় থাকবেন হকাররা। এবং সেই জায়গা খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি হাই পাওয়ার কমিটিও গঠন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুসারে কলকাতা পুরসভার বোরো আর্টের অফিসে শুক্রবার সকালে বিধায়ক দেবাশিস কুমারের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষেই সার্ভে করতে গড়িয়াহাটে পরিদর্শনে দেবাশিস কুমার। প্রসঙ্গত, সভাঘরেই দেবাশিস কুমারকে গড়িয়াহাটে জায়গা খুঁজে বার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 12 =