ভিন রাজ্যের ডাকাত দল টার্গেট করছে বাংলাকে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)

ভিন রাজ্যের সীমানা দিয়ে বাংলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে, এমন তত্ত্ব এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিককালে বন্দুক-সহ গ্রেফতারিও হয়েছে একাধিক। তবে এবার ভিন রাজ্যের ডাকাত দলও টার্গেট করছে বাংলাকে এমনটাই  শুক্রবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা। চলতি বছরে বাংলায় চারটি ডাকাতি ও ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় ভিন রাজ্যের ডাকাত দলের যোগ পাওয়া গিয়েছে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। কোনও ক্ষেত্রে বিহার, কোনও ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের ডাকাত দলের যোগ উঠে এসেছে।

একইসঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এও জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের কড়া নজরদারি ও তল্লাশি অভিযানেই এসেছে বড় সাফল্য। চারটি পৃথক ঘটনায় মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, যেগুলি আন্তঃরাজ্য ডাকাত গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে দু’টি ঘটনায় ডাকাতির ঠিক আগের মুহূর্তে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলকে ঘটনাস্থল থেকেই পাকড়াও করে পুলিশ। অন্য দু’টি ক্ষেত্রে ডাকাতির পর গা ঢাকা দেওয়া ডাকাত দলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, চারটি ঘটনার ক্ষেত্রেই ধৃতরা ছিল বিহার বা ঝাড়খণ্ডের ডাকাত গ্যাংয়ের সদস্য।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে চারটি ঘটনাকে সামনে তুলেও ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা। প্রথম ঘটনা পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের। এক ডাকাতির ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সাতজনই ঝাড়খণ্ডের এক ডাকাত দলের সদস্য। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। এডিজি আইন-শৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের একটি ডাকাতির ঘটনায় এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরে আরও তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেখানে এবং সেগুলির তদন্তেও এদের যোগ পাওয়া গিয়েছে।

দ্বিতীয় ঘটনা হাওড়ার ডোমজুড়ে। এখানেও  এক ডাকাতির ঘটনায় বিহার সমস্তিপুরে অভিযান চালিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ। সেই অভিযানে বিহার পুলিশের সহযোগিতায় বিহারের সমস্তিপুর থেকে ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের টিম সেখানে এখনও রয়েছে এবং ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার জামুড়িয়া থানা এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে এসটিএফের যৌথ অভিযোগে ডাকাতির আগেই গ্রেফতার করা হয় ডাকাত দলকে। বাংলা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ড থেকে। সব মিলিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র।

আর চতুর্থ যে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করা হয় তা বাঁকুড়ার। বাঁকুড়া থানা এলাকাতেও বড়সড় ডাকাতির এক চেষ্টা বানচাল করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ঘটনায়। পরে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ডাকাতির চেষ্টাতেই জড়ো হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রধারীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + sixteen =