খাটাল নিয়ন্ত্রণে ফের সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রসঙ্গে আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসতেও চলেছেন নিকাশি বিভাগের আধিকারিকরা। অভিযোগ, শহরের অনেক জায়গাতেই খাটালের বর্জ্যর জমা জলে সমস্যা এড়ানো যাচ্ছে না। এই খাটাল সরাতে কলকাতা পুলিশের কাছেও সাহায্য চাওয়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। এদিকে কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী, শহরে খাটাল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তবে সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন শহরের বহু এলাকাতেই রমরমিয়ে খাটাল চলছে। কাশীপুর, উল্টোডাঙা, তপসিয়া, তিলজলা, আনন্দপুর, বেহালা সহ দক্ষিণ শহরতলির সংযোজিত এলাকায় রয়েছে খাটাল। আর এই খাটালের সমস্যা নিয়ে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে হামেশাই ফোন আসে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছেও।
অভিযোগকারীরা এমনও জানিয়েছেন যে,এলাকার জমা জল বের হওয়ার জন্য পুরসভা পাকা নর্দমা করে দিয়েছে। অথচ খাটালের বর্জ্যে সেই নর্দমার এমন দশা হয়েছে যে, সেখানে জল জমে থাকে। ফলে এলাকায় বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। সেই জলে আবার খাটালের বর্জ্য ভেসে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যার দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার বাসিন্দাদেরই।
এমন অভিযোগ শুনে একাধিক বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। খাটালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার পুরসভা সূত্রে যে পদক্ষেপ নেওযা হতে চলেছে তাতে প্রথমে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোথায়-কোথায় এখনও খাটাল চলছে তা চিহ্নিত করা হবে। এরপর সেই সব খাটালে গবাদি পশুর সংখ্যা কত, তা চিহ্নিত করা হবে। যে জমিতে খাটাল রয়েছে সেখানকার মালিক এবং যাঁরা তা চালাচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। এ সব তথ্য দিয়ে খাটাল সংক্রান্ত একটি তালিকাও তৈরি করা হবে। পরে ওই সব খাটালের গবাদি পশুদের, হাওড়ার ধূলাগড় সংলগ্ন কোনও অঞ্চলে নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। খাটাল সংক্রান্ত কাজে পুর আধিকারিকদের কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুরসভা কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হবে বলেও নিকাশি বিভাগের কর্তারা জানান।