২০১৪-র প্রাথমিক নিয়োগ মামলা নিরসনে পৃথিবীর যে কোনও এক্সপার্টদের সাহায্য নিতে পারবে সিবিআই

২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ  দিল আদালত। হাইকোর্টের বক্তব্য, এই ঘটনার নিরসনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে নিতে পারবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যও। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ শুক্রবার মামলার শুনানিতে নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় আইবিএম, উইপ্রো, টিসিএস বা যে কোনও বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিক সিবিআই। একইসঙ্গে সরকারি কোনও সংস্থার, এমনকী ‘এথিক্যাল হ্যাকার’-এরও সাহায্য নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা। দেশের বাইরে হলেও তার সাহায্য় নিতে পারে সিবিআই। আর তার যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক পর্ষদ। ফলে এবার প্রাথমিকের ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে আরও সক্রিয় হতে চলেছে সিবিআই।

এদিকে আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে জমা পরা ওএমআর সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। তারপরই আদালতের এই নির্দেশ। এদিকে আদালত সূত্রে এ খবরও মেলে এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, প্রথম সার্ভারের কপি কতবার ট্রান্সফার হয়েছে তা নিয়ে। সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, তথ্য এডিট হয়েছে কি না তা নিয়েও। আর তা হয়ে থাকলে তাও কতবার হয়েছে তা জানতে চায় আদালত। সঙ্গে এও জানানো হয়, সাত সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।

প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ২ তারিখ এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনান। ওএমআর শিটের অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য জানতে চান বিচারপতি। সিবিআইকে বলা হয়েছিল সকলের সামনে এই তথ্য আনতে হবে শুক্রবার। এদিন সেই তথ্য নিয়েই এদিন শুনানি হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − seven =