পর্যবেক্ষণে মুকুল

বেশ কিছুদিন ধরেই শরীরটা মোটেই ভাল ছিল না বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়ের। এরপর বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নিজের বাড়িতে বাথরুমে যেতে গিয়ে পড়ে যান মুকুল রায়। এই ঘটনার থেকেই ভর্তি বাইপাসের দাসের বেসরকারি হাসপাতালে। পড়ে যাওয়ার পরেই দফায় দফায় করছিলেন বমি। হারিয়ে ফেলেছিলেন জ্ঞান।  উদ্বেগ বেড়েছিল গোটা পরিবারের। দ্রুতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। তারপর থেকে সেখানেই ভর্তি। চলছে চিকিৎসা। জ্ঞান এখনও ফেরেনি। একসময় যিনি বাংলার রাজনীতির ‘চাণক্য’ বলে পরিচিত ছিলেন তিনিই এখন কার্যত রাজনীতি থেকে শত যোজন দূরে। যদিও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মুকুল রায়। কখনও অর্জুন সিং, কখনও পার্থ ভৌমিক, কখনও অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দেখা করতে গিয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির পাড়ার সব তাবড় তাবড় নেতারা। তবে মুকুলের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ফিরেই ফেসবুকে লেখেন, ‘মুকুল রায়কে দেখে এলাম। খারাপ লাগল। আজ ভেন্টিলেশনের বাইরে। কিন্তু মস্তিষ্ক অচল। চোখ বুজে শুয়ে। শুভ্রাংশু কয়েকবার ডাকল। সাড়া দিল না। ডাক্তাররা বলছেন, পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা।’ তবে মুকুলকে দেখে যে কুণালের মনটাও ভাল না তা পোস্টের ছত্রে ছত্রেই স্পষ্ট। আরও লিখছেন, ‘অতিসক্রিয়দের এই নিষ্ক্রিয় ছবি বেদনাদায়ক। মতপার্থক্য ভুলিয়ে মন ভারাক্রান্ত করে দেয়। মুকুলদা সাড়া দিক। সেরে উঠুক।’

প্রসঙ্গত, শেষবার ২০২৩ সালের ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। তবে তারপর আর প্রকাশ্য কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ বা সমাবেশে তাঁকে আর দেখা যায়নি। কিন্তু, বঙ্গ রাজনীতির কারবারিরা যে তাঁকে ভালই মিস করছেন তা প্রায়শই বোঝা যায়। এরইমধ্যে কিছুদিন আগে মুকুল রায়ের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায় শরীর একদমই প্রায় ভেঙে গিয়েছে তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =