কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি চিঠি লিখলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে। সূত্রে খবর, তাঁর দলের নির্বাচনী পরাজয়ের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। প্রসঙ্গত, সদ্য ব্রিটেনের নির্বাচনে কিয়ার স্টার্মারের লেবার পার্টি ভোটে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেছে। এতে ১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটেছে। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘জয় এবং বিপর্যয় দুটোই গণতন্ত্রের যাত্রার একটি অনিবার্য অংশ এবং আমাদের এই দুটোকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’ চিঠিতে রাহুল এও লিখেছেন যে, ‘আপনার অফিসে থাকাকালীন ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আপনি যে প্রচেষ্টা করেছেন তা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি। আমি নিশ্চিত যে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে জনজীবনে অবদান রাখতে থাকবেন।’ তবে শুধুমাত্র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই নন, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারকেও নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি কিয়ার স্টার্মারের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। এই প্রসঙ্গে রাহুল এও লেখেন, ‘লেবার পার্টি এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।’
এরই পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি কিয়ার স্টার্মারের নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয়গুলি উল্লেখ করে বলেন, ‘সমতার সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর জোর, শক্তিশালী সামাজিক পরিষেবার মাধ্যমে সকলের জন্য ভাল সুযোগ এবং সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের উপর জোর যথেষ্ট প্রশংসনীয়।’ সঙ্গে রাহুল গান্ধি এও বলেন, এই বিষয়গুলি ‘স্পষ্টভাবে ব্রিটেনের জনগণকে আপ্লুত করেছে। এই বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে তাঁরা তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন।’ এর জন্য স্টার্মার এবং ব্রিটেনের জনগণ দুজনকেই অভিনন্দন জানিয়ে রাহুল গান্ধি লেখেন, ‘আপনার জয় এমন একটি ক্ষমতার প্রমাণ যা মানুষকে সব সময় রাজনীতির আগে রাখে।’ এরই পাশাপাশি রাহুল গান্ধি ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়েও আশাবাদী বলেও জানান। তিনি লেখেন, ‘আমি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য উন্মুখ।’ এখানেই শেষ নয়, রাহুল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিয়ার স্টার্মারের মেয়াদের জন্য শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সূত্রে খবর, শনিবারই কিয়ার স্টার্মারকে তাঁর জয়ের জন্য ফোনে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। তিনি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককেও শুভেচ্ছা জানান।