৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থানে বসছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তার আগে ৪ জুলাই কমিশনের অফিসের সামনে বেলা ১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসছেন তাঁরা। শুধু ধরনাই নয়, আগামী ৭ জুলাই ও ৮ জুলাই শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে খোলা হবে হেল্প ডেস্ক। ভোটকর্মীরা ডিউটিতে গিয়ে কোথাও কোনওরকম অসুবিধায় পড়লেই ফোন করতে পারবেন নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে। এরপরই সেই অভিযোগ জানিয়ে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন ভোটকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে গণ ইমেল করা হয় রাজ্যপাল, নির্বাচন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এবার নিরাপত্তার দাবি নিয়ে আরও কঠিন অবস্থানে তাঁরা।
এদিকে ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ডিএ আন্দোলনকারীরা শহিদ মিনারে ধরনায় বসেছেন। দাবি, বকেয়া ডিএ আর সঙ্গে স্বচ্ছ নিয়োগ। এই দাবি নিয়ে দিল্লি অবধিও পৌঁছে গিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সেখানেও তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন যন্তর মন্তরে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা দাবি করেছেন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। কারণ, এই ক্ষেত্রে তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর আসছে। মনোনয়নপর্বেই বিডিও অফিসে যে ছবি দেখা গিয়েছে, তারপর সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটিও কমিশনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি তোলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
আর এই নিরাপত্তার ইস্যুতেই প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে ভোটের দাবি তুলেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা না থাকলে ভোটের কাজে যোগ দেবেন না তাঁরা। যার রেশ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচন একাধিক দফায় করা হোক এমন দাবিও তোলেন তাঁরা। এদিকে আগামী শনিবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের চারদিন আগে ফের সুর চড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে শুরু করতে চলেছেন তাঁদের অবস্থান।