আরও বৃহত্তর লক্ষ্য। আর সেই কারণেই সিইও ও এমডি পদ ছাড়লেন বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর ঘোষ। মঙ্গলবারই এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি। তবে সিইও ও এমডি পদ ছাড়ার এই অর্থ নয় যে বন্ধন ব্যাঙ্কের বন্ধন একেবারে ছিন্ন করছেন চন্দ্রশেখর। বরং তিনি জানিয়েছেন, বৃহত্তর লক্ষ্যেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা জানান, ‘আমি একেবারে শুরু থেকেই ব্যাঙ্ককে এই অবস্থায় গড়ে তুলেছি। এই কাজে আমার দায়িত্ব পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমি বোর্ড থেকে বেরিয়ে এসে সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক রোলে কাজ করতে চাই।’ অর্থাৎ সিইও পদ ছেড়ে চন্দ্রশেখর ঘোষ যে বন্ধন গোষ্ঠীর কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কাজ করতে চলেছেন তা স্পষ্ট। বন্ধন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে চন্দ্রশেখর ঘোষ যে সবচেয়ে বড় নাম, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ায়, ৯ জুলাই থেকে অন্তবর্তীকালীন সিইও ও এমডি পদে বসছেন রতন কুমার কেশ। আগামী 3 মাসের জন্য এই পদে বসছেন তিনি। সোমবার ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের তরফে এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট মোতাবেক, অপারেশনস, টেকনোলজি, ব্যাঙ্কিং লেনদেন, প্রোডাক্ট, অ্যাফ্লুয়েন্ট ব্যাঙ্কিং, অপারেশন রিস্ক, অর্গানাইজেশন ট্রান্সফরমেশন, ডিজিটাল ক্ষেত্রে রতন কুমার কেশের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রশেখর ঘোষ কিন্তু কলকাতা ভিত্তিক ব্যাঙ্ক বন্ধনের শুধুমাত্র এমডি বা সিইও ছিলেন না। তিনি এই ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতাও। মাত্র ৩ জন কর্মী নিয়ে ২০১৩ সালে এই ব্যাঙ্কের পথ চলা শুরু করেছিলেন তিনি। বাঙালির বুদ্ধি ও তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের গুণে সেই ৩ জন কর্মী থেকে বর্তমানে ব্যাঙ্কের মোট কর্মচারীর সংখ্যা ৭৫ হাজারেরও বেশি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, দেশে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট ব্রাঞ্চ রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৩০০টি।