মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুম্বইয়ের পথে মমতা

নবান্ন সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল মুম্বই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়েই মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই বিশেষ বিমানে মুম্বই উড়ে যাবেন তিনি। মুম্বইতে তিনদিনের এই সফরে মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সৌজন্যের নিরিখে সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এরপরই বৃহস্পতিবার দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমি মুম্বই যাচ্ছি। মুকেশ জির ছেলের বিয়ে। বারবার করে ওঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেই জন্যই আমি যাচ্ছি।’ শুক্রবার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর একটি রাজনৈতিক বৈঠক হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। তিনি আরও জানান, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হয়েছে। মূলত রাজনৈতিক কথা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন মমতা।

এই দুই বৈঠকের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও দেখা করার কথা আছে বলে সাংবাদিকদের জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আগামী পরশু অর্থাৎ শনিবার কলকাতায় ফিরবেন মমতা। প্রসঙ্গত, মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে ঘিরে সাজ সাজ রব মুম্বইতে। দেশ-বিদেশ থেকে আসছেন অতিথি অভ্যগতরা। মমতার পাশাপাশি দেশের আরও বহু রাজনীতিবিদের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রীও।

তবে মুম্বই যাওয়ার পথে আড়িয়াদহ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভিডিয়ো ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে, সে ভিডিয়ো পুরনো। সে সময় সাংসদ ছিলেন অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

মমতা এদিন আড়িয়াদহের ঘটনায় বলেন, ‘একুশ সালের ঘটনা নিয়ে আমার ইলেকশন ড্যামেজ করার জন্য গত ৭২ ঘণ্টা ধরে এক তরফাভাবে একই নিউজ দেখিয়ে গিয়েছেন। অথচ সেই সময় অর্জুন সিং ছিলেন ওখানকার সাংসদ। যারা করেছিল তারা গ্রেফতার হয়ে এখনও জেলে আছে। আর কোনও খবর নেই। একটাই খবর। তৃণমূল দেখলেই জব্বর খবর। আর যে মানুষগুলো শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিল। একটা মানুষ ভুল করতে পারে, হাজারটা নয়। যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। ২৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।’

যদিও এ প্রসঙ্গে পাল্টা অর্জুন সিং বলেন, ‘বাংলার মানুষের দুর্ভাগ্য এটাই যে মুখ্যমন্ত্রী জানেন না বেলঘরিয়া ব্যারাকপুরের মধ্যে পড়ে নাকি দমদমের মধ্যে পড়ে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। আর জয়ন্ত একটা ডাকাত একটা চোর, যে ২০২১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তাণ্ডব করেছিল, ২০২২-এ পুরসভাতেও তাণ্ডব চালিয়েছিল। আর আমাকে নিশানা করেছেন, আমাকে খুব ভালবাসেন তো। আসলে ওনার নেতাদের ঘাড়ে এত দুর্নীতি তো, তাই আমাদের ঘাড়ে এসব ঠেলছেন। ডিসব্যালান্সড হয়ে যাচ্ছেন। একজনের নাম আরেক জনের নামে বলছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =