দেশের নিরাপত্তা ও তাঁদের পরিবারের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার কলকাতার অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে একটি বিশাল শৌর্য বন্দন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবেদার মেজর অনারারি ক্যাপ্টেন যোগেন্দ্র সিং যাদব।
শহিদদের পরিবারকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ক্যাপ্টেন যাদব শহিদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা নিরাপদ থাকায় দেশ এগিয়ে চলেছে। আমাদের সাহসী সৈন্যরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এই নিরাপত্তা দিয়েছে। আমাদের সর্বদা তাঁদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতে হবে এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে গিয়ে ক্যাপ্টেন যাদব বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে সম্মান করা মানে দেশকে সম্মান করা। একজন সৈনিক যেমন দেশের জন্য লড়াই করে, তেমনি একজন ছাত্রকেও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। এর জন্য নিজের অধ্যয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সেগুলি অর্জনের জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
কার্গিল বিজয়ের ২৫তম বর্ষপূর্তির আওতায় ‘শৌর্য বন্দন’ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল কলকাতার অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট প্রাইভেট লিমিটেড। এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ধন ধান্যে অডিটোরিয়ামে। এই অনুষ্ঠানটি কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হওয়া কলকাতার আশেপাশের এলাকার শহিদদের পরিবারকে সম্মানিত করে।
শহিদ পূর্ব তামাং, শহিদ লিনকন প্রধান, শহিদ সুরেশ ছেত্রী, শহিদ নাগেশ্বর মাহতো এবং শহিদ বিরসা ওরাওঁ-এর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি পরিবারের হাতে ১১ হাজার টাকা এবং একটি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। শহিদদের পরিবারগুলিও তাঁদের অভিজ্ঞতা এদিনের উপস্থিত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে ও অভিবাদন জানিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে পরমবীর চক্র বিজয়ী যোগেন্দ্র যাদব, অ্যালেন ক্যারিয়ার ইন্সটিটিউটের সংস্থার ডিরেক্টর রাজেশ মহেশ্বরী, সিনিয়র ফ্যাকাল্টি অনুরাগ মিশ্র, সঞ্জয় গৌড়, কেন্দ্রের প্রধান দেবাশিস সান্যাল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারগুলিকে সম্মানিত করেন।
অনুষ্ঠানে রাজেশ মহেশ্বরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, অ্যালেন ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট তার সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সর্বদা সামনের সারিতে রয়েছে। কার্গিল বিজয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শৌর্য বন্দন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর আওতায় সারা ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। অ্যালেনের বিশ্বাস কেবল শিক্ষা প্রদানই নয়, ভাল নৈতিক মূল্যবোধও প্রদান করে। তিনি দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গকারী সৈনিকদের উদাহরণ দিয়ে দেওয়ার মনোভাব থেকে শিক্ষা নিতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন।