বঙ্গ বিজেপিতে ফের আদি- নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিপর্যয়ের দায় কার এই প্রশ্ন নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছে ঠিক তখনই দলের ধারাবাহিক বিপর্যয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলে রাজ্য বিজেপির কলকাতায় বৈঠকের দিনেই বিজেপির আদি শিবিরের একাংশ বিজেপি দফতরের সামনেই লাগাতার সত্যাগ্রহ ও অবস্থান আন্দোলনে নামার ঘোষণা বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেডের অপর এক শিবিরের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দু’ভাগে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি কি না তা নিয়েই। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর প্রথম ১৭ জুলাই কলকাতায় কর্মসমিতির বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি। আর এদিনই বিজেপির কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনের সামনে লাগাতার সত্যাগ্রহ ও অবস্থান বিক্ষোভে নামতে চলেছে ‘আদি’ বিজেপি শিবিরের একাংশ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য পদ্ম নেতৃত্বকে নিশানা করে আদি বিজেপি পরিবার, বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের নামে পোস্টারও প্রকাশ করা হয়। রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কয়েকজন নেতার অপসারণ-সহ নানান দাবি নিয়ে ঠিক যেদিন বিজেপি রাজ্য কমিটি বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনা ও আগামী দিনে কোন পথে চলবে বিজেপি, সে ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক বৈঠকে বসার জন্য স্থির করা হয়েছে, ঠিক সেই দিনেই বিজেপিরই ‘অন্য’ শিবির খাস কলকাতায় বিজেপি দফতরের সামনেই আন্দোলনের পথ হিসেবে বেছে নেওয়ায় বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল আরও বাড়ল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
এর আগেও মুরলীধর সেন লেনের সামনেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছে এই মঞ্চকে। যাতে বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছিল। এবার ফের আদি বিজেপির একাংশ রীতিমতো ১৭ জুলাই আন্দোলনে নামার পোস্টার প্রকাশ করে দলের নেতৃত্বের নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে সরব হতে চলেছেন। এই ঘটনায় পদ্মের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বলা বাহুল্য, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্য বিজেপিতে আদি- নব্য দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।