আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং যে ‘নোন রাউডি’ তা মেনে নিয়েছে প্রশাসনও। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের এডিজি মনোজ বর্মা। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে বলেন, অন্তত পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন জয়ন্ত সিং। পাঁচটি মামলায়। তবে একটা বা দুটো ঘটনা নয়, জয়ন্ত যে কতটা ‘রাউডি’, তার প্রমাণও উঠে আসছে এবার।
জয়ন্ত গ্যাংয়ের আরও এক কীর্তি ফাঁস হল সম্প্রতি। আড়িয়াদহে তোলা না দেওয়ায় পার্লার বন্ধ করে দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ীর। রাস্তায় ফেলে ব্যবসায়ী বুদ্ধদেব বেজকে বেধড়ক মারধরও করেছিল জয়ন্ত-গ্যাংয়ের বাবুসোনা চক্রবর্তী। এই ঘটনায় তন্ময় ধর ওরফে বাপ্পা নামে আরও একজনের নাম উঠে এসেছে। যিনি জয়ন্ত সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বুদ্ধদেবের। মীমাংসা করানোর নামে ক্লাবে ডেকে নৃশংসভাবে বুদ্ধদেবকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। সালিশির নামে আড়িয়াদহ ঘাট লাগোয়া ক্লাবের মাঠে ডেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ফলে তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের পর শিরোনামে আরও এক ক্লাব। আক্রান্তের দাবি, বছরখানেক আগে ক্লাবের মাঠে পৌনে দু’ঘণ্টা ধরে চলে বেধড়ক মার। অভিযোগ, জয়ন্ত সিংহের ৪০ জন শাগরেদ মিলে এলোপাথাড়ি মারে বুদ্ধদেব বেজকে। প্রতিবাদ করায় বুদ্ধদেবকে পাড়া ছাড়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল জয়ন্ত গ্যাং, বলে অভিযোগ। এক বছর আগের ঘটনায় দক্ষিণেশ্বর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়।
একইসঙ্গে বুদ্ধদেব বেজ এও বলেন, ‘অনেক টাকা দাবি করেছিল আমার কাছে। ব্যবসা করতে গেলে দিতে হবে বলেছিল। না দিতে পারায় হামলা করে। আমি থানায় গিয়ে জিডি করেছিলাম। তবে সেটাই বোধহয় আমার সবথেকে বড় ভুল হয়েছিল। থানা ওদের হয়ত কোনও তথ্য দেয়। এরপরই জয়ন্তী মাঠে ডেকে আমাকে মারধর করা হয়। আমার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে আসার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল। আমি সেদিনের মারধরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ, কোনও গরু ছাগলকেও এভাবে পেটায় না। আমি তো সামান্য একটা ব্যবসায়ী।’ শুধু তাই নয়, বুদ্ধদেবের দাবি, ‘মেয়েরা এদের কাছে ছেলেখেলা। এই তন্ময় ধর একাধিক নারীর সঙ্গে যুক্ত আছে। সেগুলো আমরাও দেখেছি। একাধিক মহিলার বাড়িতে গিয়ে ফূর্তি করে।’