বড়ুয়া বেকারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের জমি নিয়ে তরজায় শাসকদলের বিধায়ক-কাউন্সিলর

জমি বাঁচানোর নামে কাউন্সিলর আসলে জমি হাঙরের ভূমিকা পালন করছেন, এমনই অভিযোগ শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আনলেন শাসকদলেরই বিধায়ক। সমস্যার শুরু খাস কলকাতার বুকে এন্টালির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৪ কাঠা জমি ঘিরে। যা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়ার মাঠ বলেই পরিচিত। আর এই জমি ঘিরে বিধায়ক ও কাউন্সিলরের দ্বন্দ্ব চরমে।  কয়েকদিন আগেও এই মাঠকে খেলার মাঠ করার দাবিতে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরনিগমের বস্তি বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার আন্দোলন শুরু করেন। এলাকার বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। যদিও ৪৪ কাঠা জমি বড়ুয়া বেকারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এমনকী জমির করও মেটানো হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের।

এই ঘটনায় বড়ুয়া বেকারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের সৌরভ বড়ুয়া জানান, ‘আমাদের এই জমি বহুদিন আগে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়। আসতে আসতে যদিও সেই পাঁচিল ভেঙে দেয়। ২০২৩ অবধি কর দিয়েছি। অথচ পাঁচিলের ইঁট খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। এলাকার লোকজন বলছেন এখানে খেলার মাঠ হবে।’ বড়ুয়া পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ন্যায্য মূল্যের কথা।

আর এখানেই বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার দাবি, জমি বাঁচানোর নামে কাউন্সিলর আসলে জমি হাঙরের ভূমিকা পালন করছেন। স্বর্ণকমল বলেন, ‘এভাবে প্রাইভেট প্রপার্টি দখল করা যায়? ও বলছে জমি হাঙর থেকে বাঁচাব। ও তো নিজেই জমি হাঙরের ভূমিকা নিতে চলেছে। আমার জায়গায় কেউ খেলার মাঠ করে দেবে? এটা দখল ছাড়া কী? কর্পোরেশনের জায়গা বের করে খেলার মাঠ করুক।’

পাল্টা মুখ খুলেছেন কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারও। কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘উনি না জেনে হয়ত বলেছেন। আমি জমি হাঙরদের হাত থেকে বাঁচাতে চাইছি মানুষের স্বার্থে। বেআইনি প্রোমোটাররা যারা রাজত্ব করে, উনি তাদের প্রশ্রয় দিতে পারেন। আমি নই। সরকারের কাছে জমি অধিগ্রহণ করতে অনুরোধ করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =