খড়দহে রবিবার হাজারিদুয়ারি এক্সপ্রেসে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। একইভাবে এই ঘটনায় প্রশ্ন এড়াতে পারছে না রেলও। রবিবারের ঘটনায় রেল, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এক নম্বর গেট দিয়ে দু’টি গাড়ি ঢুকল কীভাবে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, কেন গেটম্যান রেলগেটের ভিতরে গাড়ি ঢোকার পরও হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসকে যাওয়ার সঙ্কেত দিলেন তা নিয়েও। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রেল গেটের উপরে প্রস্তাবিত উড়ালপুল কেন তৈরি হচ্ছে না সে ব্যাপারেও। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, কেন নিয়ম মতো রেলগেটে আরপিএফের দেখা মেলে না সে ব্যাপারেও. এদিকে রেলের এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল চার চাকার গাড়ির চালককে। একইসঙ্গে রেললাইনে ঢুকে পড়া দু’টি গাড়িই আটক করেছে রেল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস তখন খড়দহে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে। সেই সময় একটি টাটা সুমো গাড়ি ও আরেকটি গাড়ি রেল গেটের দিকে যায়। সে সময় রেল গেট বন্ধ হচ্ছিল। তার আগে রেড সিগনালও দিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সেই সিগনাল ভেঙে ওই গাড়ির চালক এগিয়ে যান বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র রবিবারই জানিয়েছিলেন, ‘আমরা টাটা সুমোর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি। ওনার গাফিলতির জন্য বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’ যদিও যিনি গেটম্যান ছিলেন, তিনি ভুল করেছেন বলে দাবি করছেন সোমবার দিনের বেলা যিনি গেটম্যান হিসাবে ওই একই দায়িত্বে থাকেন। দিনের গেটম্যান বলছেন, ‘গেটম্যান ক্লিয়ার করে রাখলে এটা হতো না। গাড়িটা দাঁড় করিয়ে রাখত। ক্লিয়ার করে গাড়িটা বের করতে পারত। গাড়িটা দেরি হলে কিছুই হতো না। আমাদের একটাই নিয়ম মানতে হয়, তা হল নিরাপত্তা।’ তবে রবিবারের দুর্ঘটনার পরও সোমবার বহাল অসচেতনতার ছবি। রেলগেট পড়লেও লাইনের মধ্যে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পথচারী, যাত্রীরা। গেট ম্যানের বিপদ সাইরেন উপেক্ষা করেই লাইনের উপরে চলছে গাড়ি চলাচল। ফটক বন্ধ করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে গেটম্যান, আরপিএফের।
এই প্রসঙ্গে আরপিএফ জওয়ানেরাও জানান, আমরা চেষ্টা করতে পারি। এর বেশি কিছু করার নেই। সাধারণ মানুষ একটা কথাও শোনেন না। এখানে ব্রিজ করতে দেবে না। ২৫ বছর আগে এখানে এসেছিল রেলের ব্রিজ করার জন্য। কেউ করেনি।’