দিন কয়েক আগেই হয়ে গিয়েছে রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তাতে জিতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চার বিধায়ক। তাই তাঁদের শপথ ঘিরে যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর প্রশাসনের। এদিকে সূত্রে খবর, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিধানসভার বাদল অধিবেশন বসতে পারে। তার জন্য গত শনিবারই তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধিবেশন বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে রাজভবনের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেলে এই বাদল অধিবেশনেই চার বিধায়কের শপথ পর্ব সেরে ফেলতে পারেন অধ্যক্ষ।
সেক্ষেত্রে কড়া অবস্থানই বজায় রাখবে বিধানসভা। সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী, হয় রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়াবেন, অথবা পরিষদীয় রীতি মেনে অধ্যক্ষকে সেই দায়িত্ব দেবেন। নজর থাকবে রাজ্যপাালের পদক্ষেপে।
রাজ্যপাল নিজে শপথ পড়ান, নাকি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই দায়িত্ব দেন সেটাই দেখার। রাজ্যপাল সেক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক সাড়া না দিলে বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে সেই শপথ পড়িয়ে দেবেন অধ্যক্ষই, অন্তত এমনটাই সূত্রে খবর। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষই যে এক্ষেত্রে শেষ কথা, তা উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গোটা দেশে এটাই রীতি। রাজ্যপাল অধ্যক্ষকেই নতুন বিধায়কদের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন।’ পরে অধ্যক্ষ জানান, ‘পরিষদীয় দফতরের চিঠির পর রাজ্যপাল কী জানান, তার উপরই নির্ভর করছে এই চারজনের শপথ। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোই যায়।’ এবার যাতে কোনওভাবেই এ নিয়ে আর গড়িমসি না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখছে বিধানসভা। জানা যাচ্ছে, চার নতুন বিধায়কের জয়ের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশের পর আগামী সপ্তাহেই তাঁদের শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেবে পরিষদীয় দফতর।
প্রসঙ্গত, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াl হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলে৷ রাজভবন ও বিধানসভার দড়ি টানাটানিতে শপথগ্রহণ পর্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জটিলতাও৷ এরই মধ্যে দুজনেই জানিয়েছিলেন তাঁরা শপথ নিতে চান বিধানসভায়৷ রাজভবনে গিয়ে তাঁদের শপথ নেওয়ার আপত্তির কথাও জানিয়েছিলেন৷ তবে রাজভবন শেষ মুহূর্তে বিধানসভার উপাধ্যক্ষকে শপথ করানোর আনুমতি দিলেও, অধিবেশন চলাকালীন তিনি জানিয়েছিলেন দায়িত্ব নিতে তিনি অপারগ৷ তাই অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন এই দুই নব নির্বাচিত বিধায়ককে৷ যা নিয়ে ফের আপত্তির কথা জানায় রাজভবন।