সোমবার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নতুন অফিসিয়াল পোর্টালের আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে। আর তা জানিয়েছেন শুভেন্দু স্বয়ং। পোর্টাল চালু করার খবর জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘পঞ্চায়েত, লোকসভা এবং সদ্য সমাপ্ত চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের জন্য বড়সড় গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁরা সোমবার থেকে বিরোধী দলনেতার নতুন পোর্টালে অভাব অভিযোগ-সহ নাম নথিভুক্ত করুন। যাঁরা পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করবেন তাঁদের নাম পরিচয় গোপন থাকবে।’
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রের ১০০ জন ভোটারকে নিয়ে যাদের আঙুলে ভোটের কালি পড়েনি তাঁদের নিয়ে রাজভবনে শীঘ্রই আসব বলেও হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘যেভাবে নন্দীগ্রামে গণ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম ঠিক সেভাবেই যাঁরা ভোট দিতে পারেননি সেই সমস্ত অত্যাচারিত মানুষজনের বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাশে থাকব।’
তবে শুধুমাত্র যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁরাই নন, ভোট পরবর্তী অশান্তি থেকে শুরু করে যে কোনও অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষজনও বিরোধী দলনেতার নয়া পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। পোর্টাল মারফত বিরোধী দলনেতা অভাব অভিযোগ পেয়ে শুভেন্দু অধিকারী সেই সমস্ত বিষয়ে মানুষকে কিভাবে সাহায্য এবং সেই সমস্ত মানুষদের পাশে থাকা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়েই দেখা গিয়েছে কখনও মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের মোবাইল নম্বর জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন আবার কোথাও বা হালে শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে পথে প্রচারে জনসংযোগের সময় শাসক দলের চোখরাঙানি থেকে অনৈতিক কাজ সহ যে কোনও ধরনের সমস্যা হলেই তাঁকে সরাসরি ফোন কিম্বা হোয়াটসঅ্যাপ করার কথাও শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। আর এবার সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের নয়া মাধ্যম হিসেবে সোমবার থেকে ‘বিরোধী দলনেতার’ পোর্টাল চালু করার কথা নিজেই ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের এই ঘটনায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই মূলত জনসংযোগের লক্ষ্যেই শুভেন্দুর এই উদ্যোগ। অন্যদিকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দল এবং সরকারকে হামেশাই নিশানা করেন শুভেন্দু। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে এও বলেন, ‘শীঘ্রই এ রাজ্যের আট সাংসদ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাকে উপদ্রুত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাবেন।’