ঢোলাহাটে পুলিশের ‘হেফাজতে’ যুবকের মৃত্যু মামলার তদন্তে এবার সিআইডি। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট এই ঘটনায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ তারিখ ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময়ে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্ত পান। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, তারপর সেখান থেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে মৃত্যু হয় সেখানে।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লক আপে পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তোলে পরিবার। একইসঙ্গে ঢোলাহাট থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ এবং সেকেন্ড অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আনা হয় যে, জামিন দেওয়ার বিনিময়ে টাকাও দাবি করেন তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।