বলিউডে জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম চন্দ্রচূড় সিং। চন্দ্রচূড় বলিউডে খুব বেশি ছবিতে অভিনয় না করলেও, যে কয়েকটি ছবি রে গেছেন তা দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। শুধু বড়পর্দায় নয়, ‘আরিয়া’ ওয়েব সিরিজে সুস্মিতা সেনের বিপরীতে চন্দ্রচূড় সিংয়ের অভিনয় সমালোচক মহলে যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। চন্দ্রচূড়কে শেষ দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে অক্ষয় কুমারের ওটিটি ছবি ‘কাঠপুতলি’-তে। তবে কর্মজীবনের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবনকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন চন্দ্রচূড় সিং। তাই অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের একমাত্র সন্তান স্বর্ণজয়কে মানুষ করার জন্য কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাননি ‘সিঙ্গেল ফাদার’ চন্দ্রচূড়। এক সাক্ষাৎকারে চন্দ্রচূড় সিং জানিয়েওছিলেন, ‘সিঙ্গেল ফাদার হওয়ার জন্য ছেলের সমস্ত কিছু নিজের হাতে সামলাতে হচ্ছে। দিনের বেশির ভাগ সময়টাই চলে যায় ছেলে মানুষ করার কাজে। পর্দায় অভিনেতা হিসেবে খুব বেশি উপস্থিতি না ঘটলেও, বাবা হিসেবে নিজের দায়িত্বটুকু সমস্তটাই পালন করার চেষ্টা করি। ছেলেকে বড় করার অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিদিন অনেক কিছু শিখেছি। এই অভিজ্ঞতা থেকেই আমার মনে হয়েছে, সন্তানকে বড় করা পৃথিবীর শক্ত কাজ গুলির মধ্যে অন্যতম।’
লাইমলাইট থেকে দূরে থাকা চন্দ্রচূড় সিংকে সবসময়ই দেখা গিয়েছে ছেলে স্বর্ণজয়ের সঙ্গে মুম্বই বিমানবন্দরে। ছবিতে বাবা-ছেলের বন্ধন স্পষ্ট। ছবিতে চন্দ্রচূড়কে দেখা গিয়েছে নীল টি-শার্টের সঙ্গে ডেনিম জিন্স পরতে। অন্যদিকে ছেলের পরনে ছিল, সাদা প্যান্টের সঙ্গে কালো টি-শার্ট। দুজনকেই হাসি মুখে দেখা গিয়েছে। ছেলেকে দেখে অনুরাগীদের অনেকেই তার কার্বন কপি বলছেন।
বলে রাখা ভাল, থেকেই চন্দ্রচূড়ের গান এবং অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। গানের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুতে ‘আওয়ার্গী’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন চন্দ্রচূড় । এরপর ‘তেরে মেরে স্বপ্নে’ ছবিতে কাজ করে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। যদিও এই ছবি বক্স অফিসে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তবুও সাফল্য অর্জনের জন্য তিনি আরও ছবি করতে থাকেন। এরপর ‘দাগ: দ্য ফায়ার’, ‘কেয়া কেহনা’,‘জোশ’ এর মতো হিট ছবিতে কাজ করেন। চন্দ্রচূড় সিং যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান, তখন গোয়ায় দুর্ঘটনার জেরে কাঁধে আঘাত লাগে। ফলে অনেক ছবির অফার ছাড়তে হয় তাঁকে। প্রায় ১০ বছর কাজ করতে পারেননি তিনি।