চুল বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণাতে পুলিশের জালে সাদ্দাম

বুধবার গভীর রাতে সাদ্দাম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় ১৫ দিন ধরে পুলিশ তাঁর সন্ধান চালাচ্ছিল বলে জান গিয়েছে। গ্রেফতারির পর পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, চলতি মাসের শুরুতে জয়নগর থানায় একটা মামলা দায়ের হয়। অভিযোগকারী নদিয়ার বাসিন্দা। সেই অভিযোগ থেকেই সাদ্দামের খোঁজ শুরু।

পুলিশ জানায়, নদিয়ার ওই ব্যক্তি চুল কিনতে গিয়ে প্রতারিত হন। অভিযোগ, ১২ লক্ষ টাকা দিয়েও চুল পাননি তিনি। তখনই অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্তে কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়। এরপর গত ১৫ তারিখ সাদ্দাম সর্দারের সন্ধান পায় পুলিশ। কুলতলিতে লোকেশন চিহ্নিত করে ‘রেইড’ করে পুলিশ। তবে সেখানে সাদ্দামকে ধরতে গেলে মহিলা ও কিছু লোকজন বেরিয়ে এসে পুলিশকে বাধা দেয়। সইরুল নামে এক ব্যক্তি গুলি চালায় ও অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে শাসানি দেয় বলেও জানান পুলিশ সুপার। এরপর পুলিশের হাত থেকে সাদ্দামকে টেনে নিয়ে চলে যায় তারা।

এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, নকল সোনা, পুরনো মূর্তি, কয়েন সহ বেশ কিছু জিনিসের ব্যবসা ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে জিনিস দিত না তারা। আর সেই গ্যাং-এর মাথা ছিল সাদ্দাম। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে ঠাকুররানি নদীর পাশে আলাঘর থেকে খোঁজ মেলে সাদ্দামের।

সাদ্দামের বাড়ির সুড়ঙ্গ রহস্য নিয়েও তাকে জেরা করে পুলিশ। জেরায় সাদ্দাম দাবি করেছে, যেটাকে সুড়ঙ্গ বলা হচ্ছে সেটা নাকি শৌচালয় হিসেবে ব্যবহার করত তারা। সাদ্দাম জালনোট কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। সাদ্দামের নামে মোট সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − six =