আড়িয়াদহ কাণ্ডে অভিযুক্ত জয়ন্ত ও রাহুলের আরও কীর্তি এল প্রকাশ্যে। আড়িয়াদহ দোলপিড়ি মোড় এলাকায় নতুন ভাবে টোটো রুট চালু করে জয়ন্ত সিং ও রাহুল গুপ্তা। আর এই রুটে টোটো স্ট্যান্ডে টাকা নিয়ে রুট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, টাকা নিয়ে টোটো স্ট্যান্ড তৈরি ও টোটো থেকে রোজ চাঁদার নামে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে এই জয়ন্ত ও রাহুলের বিরুদ্ধে। জয়ন্তের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা টোটো চালকেরা হুমকি ও অত্যাচার চালাতো স্থানীয় রিকশা চালকদের ওপরেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণেশ্বর থেকে কামারহাটি রুটে অটো চালকদের মূল আতঙ্ক জয়ন্ত সিং। আড়িয়াদহের এই টোটো স্ট্যান্ডের সভাপতি ছিল রাহুল গুপ্তা। পাশাপাশি প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা হিসেবে টোটো চালকদের থেকে নিতেন জয়ন্তের ঘনিষ্ঠ রাহুল গুপ্তা, এমনটাই অভিযোগ টোটো চালকদের।
আড়িয়াদহ দোলপিরি মোড় এলাকায় রয়েছে বহু পুরনো রিক্সা স্ট্যান্ড। টোটো স্ট্যান্ড জয়ন্ত সিংয়ের দ্বারা চালু হওয়ার পর থেকে রিকশাচালকদের উপর শুরু হয় অত্যাচার। জয়ন্ত সিংয়ের দাপটে রিকশাচালকদের হুমকি ও অত্যাচার চালাতো টোটো চালকরা এমনটাই অভিযোগ রিকশাচালকদের। টোটো চালকদের হুমকি ও অত্যাচারে সব রুটে যেতে পারতেন না রিকশাচালকেরা। আতঙ্কে মুখ খুলতে ভয় পেতেন রিকশাচালকেরা। জয়ন্ত সিংগ্রেফতার হওয়ার পর আতঙ্কিত সেই রিকশাচালক ও টোটো চালকরা জানালেন তাঁদের উপর দীর্ঘদিন ধরে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা।
শুধু তাই নয়, টোটো অটো চালকরাও জানাচ্ছেন, অটো চালককে মারধরের অভিযোগ জয়ন্তর আরেক শাগরেদ রঞ্জিত চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে এক আটো চালককে মারধর করেছিলেন রঞ্জিত। পুলিশকে জানানোর পরও রঞ্জিতের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জয়ন্ত এবং তার শাগরেদের দাপাদাপিতে বেআইনি অটোচালকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ফলে যারা সরকারকে উপযুক্ত ট্যাক্স দিয়ে ওই অঞ্চলে অটো এবং টোটো নিয়মিতভাবে চালান তাঁরা আতঙ্কিত।