আম-জনতার জন্য বন্দে ভারত-এর মতোই আসছে বন্দে সাধারণও। কারণ, বন্দে ভারতের টিকিটের দাম বড্ড বেশি। এটা মানতেই হবে, দেশে রেলপথে যোগাযোগের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের শুরুর পর থেকে। বর্তমানে দেশের একাধিক শহরকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ করছে ভারতীয় রেল। বর্তমানে ভারতে ২০টির বেশি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, তবে খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
ভারতীয় রেল সূত্রে এ খবরও মিলছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা প্রচুর। একাধিক রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখনও দেশের একটি বড় জনসংখ্যার কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার সুবিধা নেই। মূলত এর টিকিটের চড়া দামের জন্য। ফলে এই আধা-দ্রুত ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পরও অন্য ট্রেনের সাধারণ বগিতে ভিড় কমেনি। কারণ, বন্দে ভারত ট্রেন শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকেদের চাহিদা পূরণ করছে। পাশাপাশি টিকিটের বেশি দামের কারণে সাধারণ মানুষ বন্দে ভারত ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারে না বলে সমালোচনাও শুরু হয়। যখনই বন্দে ভারত উদ্বোধন হয়, সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণ বগিতে ভিড়ের ছবি দেখা যায়। সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কী করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার পরেই বন্দে সাধারণ ট্রেন আসছে।
এই পরিস্থিতিতে রেলের পক্ষ থেকে আম-জনতার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।
বন্দে ভারতের মতো এই ট্রেনে সম্পূর্ণ নন-এসি হবে। এই ভাবে টিকিটের দাম কমানো হবে। এর মধ্যে থাকবে স্লিপার কোচ ও জেনারেল কোচ। নন-এসি বন্দে সাধারণ ট্রেনের উৎপাদন ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই বছরের শেষ নাগাদ ট্রেনগুলি পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ট্রেনগুলি সক্রিয়ভাবে চলতে শুরু করবে। বন্দে ভারত ট্রেনের সামনে এবং পিছনে একইভাবে দুটি লোকোমোটিভ থাকবে। বন্দে সাধারণ ট্রেনে ২৪টি কোচ থাকবে। এতে বন্দে ভারতের মতো স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরাও থাকবে।