কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার ধারে দোকানিদের নাম লেখার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে নিঃসন্দেহে এক বড় ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রসঙ্গত, যোগি সরকার কয়েকদিন আগে ফতোয়া জারি করে, কাঁওয়ার যাত্রাপথের দুধারে যত দোকান রয়েছ, সেখানে দোকানিদের নামধাম প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দিতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ড সরকারও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজেপি বিরোধী শিবির তো বটেই জেডিইউ, আরএলডি, এলজেপির মতো (আরভি)এনডিএ জোটসঙ্গীরাও এতে আপত্তি জানায়। তাদের মতে, সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার জন্যই উত্তরপ্রদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যোগী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ অন্য কয়েকজন মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
প্রসঙ্গত, শ্রাবণ মাসে শিবভক্তরা হরিদ্বার, গোমুখ এবং গঙ্গোত্রী দিয়ে গঙ্গার জল তুলে আনেন। শিবভক্তদের এই যাত্রাপথে যত দোকান আছে, সেখানে দোকান মালিকদের নাম প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ জারি করা হয় উত্তরপ্রদেশে গত ১৮ জুলাই। মামলাকারীদের দাবি, মুসলিম ব্যবসায়ীদের সাংবিধানিক স্বার্থ এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এস ভি এম ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দোকানে কী ধরনের খাবার থাকছে, তা অবশ্যই প্রকাশ্যে জানিয়ে দিতে হবে।