সাধারণ মানুষের জন্য নয়, সরকার বাঁচাতেই পেশ করা হয়েছে এই বাজেট, দাবি বিরোধীদের। বিহার, অন্ধ্র প্রদেশকে দু’হাত ঢেলে উজাড় করে দিলেও ব্রাত্য বিরোধী দলগুলির শাসিত রাজ্যগুলি। সরকারের এই দ্বিচারিতা নিয়েই বুধবার সংসদে সুর চড়াবে ইন্ডি জোট। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগ এনেই এদিন সংসদে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বাজেট পেশের পরই নয়া দিল্লির ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন ইন্ডি জোটের নেতারা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে কেসি বেণুগোপাল, শরদ পওয়ার, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সাংসদ সঞ্জয় রাউত, অরবিন্দ সাওয়ান্ত, ডিএমকের সাংসদ টিআর বালু ও তিরুচি শিবা, জেজেএম-র সাংসদ মহুয়া মাজি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং ও রাঘব চাড্ডা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
সূত্রে খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ইন্ডি জোটের সব সাংসদরা বাজেটের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তারা সংসদের সিড়িতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করবেন।
এর পাশাপাশি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগে আগামী ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানা গিয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি ও হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সুখু নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তামিলনাড়়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও এই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন।