২০২৪ সালের নিট পরীক্ষা ফের নেওয়া হবে না। ফের পরীক্ষার দাবি খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যাতে স্পষ্ট হয় যে প্রশ্নফাঁসের জেরে পরীক্ষার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন সিবিআই জানায়, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ এবং বিহারের পটনাতে প্রশ্নফাঁসের জেরে ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী লাভবান হয়েছেন। এবছর নিট দিয়েছিলেন প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী। সিবিআইয়ের সওয়ালের পরই চব্বিশের নিট পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পুনরায় পরীক্ষার আবেদন খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি, যাতে স্পষ্ট হয় পদ্ধতিগত ফাটল রয়েছে পরীক্ষায়। কিংবা পরীক্ষার ‘পবিত্রতা’ নষ্ট হয়েছে।
চলতি বছরের ৫ মে নিট পরীক্ষা হয়েছিল। ফল প্রকাশিত হয় গত ৪ জুন। ফল বেরনোর পর দেখা যায় ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২০-ই পেয়েছেন। আবার দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে। প্রশ্নফাঁসেরও অভিযোগ উঠে। নিট ইস্যুতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। তদন্তে নামে সিবিআই। কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানায়, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ ও বিহারের পটনায় চার জায়গায় প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। তাতে ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী লাভবান হয়েছেন।
চব্বিশের নিট পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, ২৩.৩৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী, যাঁদের অনেকেই বাড়ি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিলে তাঁর বড় সমস্যা পড়বেন। শুধু তাই নয়, অ্যাডমিশন সূচিও নষ্ট হবে। শিক্ষার উপর প্রভাব পড়বে। যার ফলে ভবিষ্যতে চিকিৎসক সংকট দেখা দিতে পারে। শীর্ষ আদালত জানায়, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যাতে বোঝা যায় সিস্টেমেটিকভাবে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এরপরই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।