বাগুইআটির অশ্বিনী নগর থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ

উটকো গন্ধ আগেই নাকে আসছিল বাগুইআটির অশ্বিনী নগরের বাসিন্দাদের। এরপর দিন যত এগিয়েছে সেই গন্ধের তীব্রতা আরও বাড়ে। এরপর স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় কাউন্সিলরকেও। পুলিশ এসে দরজা খুলতেই ঘরের থেকে মেলে পচাগলা এক ব্যক্তির দেহ। এরপরই দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাগুইআটির অশ্বিনী নগরের ঘটনা। সেখানে দোতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন চন্দ্রনাথবাবু। জানা গিয়েছে, পুলিশ এসে প্রথমে দরজায় কড়া নাড়ে। পরে কেউ দরজা খুলছে না দেখে দরজা ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায় পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দ্রনাথবাবুর দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দু’থেকে তিনদিন আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতদেহর পাশ থেকে প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, চন্দ্রনাথবাবু প্রচুর মদ্যপান করতেন। এদিকে এই খবর দেওয়া হয়েছে আমেরিকায় থাকা মৃতের ভাইকেও।

সূত্রে এ খবরও মেলে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নিজের বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার পরের দিন খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই চন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী তাঁর সন্তানকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। এই ঘটনার চার বছর পর মৃত্যু হল সেই ছেলের। ইতিমধ্যে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 4 =